শত্রুর মোকাবিলা করতে যে কোনও মুহূর্তে পরমাণু হামলা করতে পারে উত্তর কোরিয়া। সরাসরি হুমকি দিলেন কিম জং উন। তবে আন্তর্জাতিক মহলের ধরণা, রাষ্ট্রপুঞ্জকে চাপে রাখতেই এটি কিমের একটি রণকৌশল বলেই মনে করা হচ্ছে। একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে যে ভাবে নিজেদের শক্তি আস্ফালনে মরিয়া হয়ে উঠছে উত্তর কোরিয়া, তাতে গোটা বিশ্বে একটা অশান্তির আবহ তৈরি হচ্ছে। উত্তর কোরিয়াকে চাপে রাখতে তাই গত বুধবারই বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করে রাষ্ট্রপুঞ্জ। এক প্রকার রাষ্ট্রপুঞ্জকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই পরের দিন ফের ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে উত্তর কোরিয়া। কিমের হুমকি, যারা উত্তর কোরিয়ার অস্তিত্বের বিনাশে উঠে পড়ে লেগেছে তাদেরও ছেড়ে কথা বলা হবে না। এই হুমকি আসলে আমেরিকার দাদাগিরিকে চ্যালেঞ্জ বলেই জানিয়েছেন উন। দেশের এক সংবাদমাধ্যম কিমের বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে বলেছে, আমেরিকা যে ভাবে যুদ্ধের আবহ তৈরি করছে, তাতে যদি উত্তর কোরিয়ার সার্বভৌমত্বে কোনও ভাবে আঘাত আসে, পাল্টা আঘাত হানতেও প্রস্তুত তারা। প্রয়োজনে পরমাণু হামলা চালানো হতে পারে।
উত্তর কোরিয়ার গতিবিধির দিকে লক্ষ্য রেখে রাষ্ট্রপুঞ্জ আরও কঠোর হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই কিমের দেশকে কড়া হাতে দমন করার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ। যেমন, উত্তর কোরিয়াকে যে কোনও ধরনের অস্ত্র বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। অন্য দেশগুলিকেও বলা হয়েছে উত্তর কোরিয়ার কাছে থেকে কয়লা, লৌহ আকরিক যেন না কেনে।
রাষ্ট্রপুঞ্জের এই নিষেধাজ্ঞা যে বিশেষ কাজে আসবে না তা ঠারে ঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছে পিয়ংইয়ং। সেখানকার বাসিন্দাদের কথায়, “রাষ্ট্রপুঞ্জের কোনও নিষেধাজ্ঞাই আমাদের প্রভাবিত করতে পারবে না। অর্ধশতকেরও বেশি সময় ধরে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞায় চলতে হয়েছে দেশকে। আর নয়। অনেক হয়েছে। এ বার সময় এসেছে পাল্টা উত্তর দেওয়ার।”
একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে বিশ্বকে নিজেদের ক্ষমতা দেখানোর বিষয়টাও পেন্টাগন মেনে নিতে পারছে না। তারা উত্তর কোরিয়াকে এখনই এ সব কাজ বন্ধ করে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার কথা বলেছে। পেন্টাগনের এক শীর্ষ আধিকারিকের কথায়, “উত্তর কোরিয়ার সমস্ত গতিবিধি ও কার্যকলাপের উপর আমরা কড়া নজর রেখেছি।”
এই প্রথম নয়, ক্ষমতায় আসার পর ২০১৩-তে পশ্চিম দুনিয়াকে পরমাণু হামলার হুমকি দিয়েছিলেন কিম। উত্তর কোরিয়া নিয়ে কাজ করছেন অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-র এক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, কিমের এই প্রস্তুতি অনেক দিনের। সার্বভৌমত্ব টিকিয়ে রাখতে এই রণনীতিতেই বিশ্বাসী তারা।
আরও পড়ুন...
নিষেধাজ্ঞা জারি হতেই প্রবল হুঙ্কার, এক ঝাঁক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লেন কিম
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy