হাজার হাজার দর্শক এবং টিভিতে চোখ রাখা দেশের মানুষের উদ্দেশে তিনি ঘোষণা করেন যে, পুষ্পিকা ওই মুকুটের যোগ্য নন। কারণ এই প্রতিযোগিতা বিবাহিত মহিলাদের জন্য। স্বামী-সংসারের মধ্যে থেকে, সমস্ত দায়িত্ব পালন করেও যাঁরা অনন্য হয়ে উঠেছেন, তাঁরাই প্রতিযোগিতায় নাম লেখানোর যোগ্য। পুষ্পিকার বিয়ে হলেও বিচ্ছেদ ঘটে গিয়েছে। ক্যারোলিনের দাবি, এই কারণে সেরার শিরোপা পাওয়ার যোগ্য নন তিনি।
গোটা ঘটনায় অপমানিত হয়ে কাঁদতে কাঁদতে মঞ্চ ছেড়ে বেরিয়ে যান পুষ্পিকা। তবে সাময়িক ভাবে চলে গেলেও, পরে নেটমাধ্যমে গোটা বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। জানান, আইনত বিচ্ছেদ না হলেও, স্বামীর থেকে আলাদা থাকেন তিনি। একাই সন্তানকে বড় করছেন। তার জন্য যদি তাঁকে প্রতিযোগিতার যোগ্য মনে না করা হয়, কোনও আফশোস নেই তাঁর।
এর পরই, বিষয়টি নিয়ে তুলকালাম শুরু হয়ে যায়। প্রতিযোগিতার উদ্যোক্তাদের তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন নেটাগরিকরা। অন্যান্য দেশেও বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়ে যায়। তাতে নড়েচড়ে বসেন উদ্যোক্তারা। দ্বিতীয় স্থানাধিকারীর থেকে মুকুট পুষ্পিকাকে ফেরত দেন তাঁরা। বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়, গোটা ঘটনায় পুষ্পিকার কাছে ক্ষমা চাওয়া হয়েছে।
এর পর, হৃত মুকুট পরিহিতা পুষ্পিকাকে নিয়ে একটি সাংবাদিক বৈঠকও করেন উদ্যোক্তারা। সেখানে সরাসরি কারও নাম না করা হলেও, বিষয়টি নিয়ে তিনি আইনি পদক্ষেপ করবেন বলে জানিয়ে দেন পুষ্পিকা। একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘এখনও আইনি বিচ্ছেদ হয়নি আমার। তবে যিনি অন্যের মাথা থেকে মুকুট কেড়ে নেন, তিনি অনন্যা হওয়ার যোগ্য নন। আমি বিবাহিতা নাকি বিবাহ বিচ্ছিন্না, সেটা আমার পরিচয় নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy