Once used as a mine, now an underground car cave in wales dgtl
National News
বিষাক্ত স্বচ্ছ জলে ডোবা রহস্যময় এই গুহা গাড়ির কবরস্থান!
ওয়েল্স কেরিডিজিওন-এর পাহাড়ি এলাকায় এক সময় ছিল স্লেট পাথরের খনি। গত শতাব্দীর ছ’য়ের দশকে উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়। এক সময়ের কর্মব্যস্ত সেই খনিই পরিণত হয় পরিত্যক্ত শান্ত পাহা়ড়ি উপত্যকায়।
সংবাদ সংস্থা
কার্ডিফশেষ আপডেট: ১৬ অগস্ট ২০১৮ ০৯:৩০
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১০৮
স্ফটিকের মতো স্বচ্ছ নীল জলের হ্রদ। অথচ ভয়ঙ্কর বিষাক্ত। পাথরের ছাদ। যে কোনও মুহূর্তে খসে পড়তে পারে চাঙড়। একা ছোট্ট ডিঙিতে সরু গুহাপথে পৌঁছতে হয় সেখানে। গাড়ির পাহাড়ে। পদে পদে বিপদের হাতছানি উপেক্ষা করে তবু ঢুঁ মারেন অ্যাডভেঞ্চার পিপাসুরা।
০২০৮
ওয়েলস কেরিডিজিওন-এর পাহাড়ি এলাকায় এক সময় ছিল স্লেট পাথরের খনি। গত শতাব্দীর ছ’য়ের দশকে উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়। এক সময়ের কর্মব্যস্ত সেই খনি অঞ্চল পরিণত হয় পরিত্যক্ত শান্ত পাহা়ড়ি উপত্যকায়। এখনও সেখানে কিছু লোক বাস করেন। তবে ওই খনিগর্ভে সাধারণ মানুষ আর কেউ প্রবেশ করেন না।
০৩০৮
খনি বন্ধ হলেও গুহার মতো খাড়া প্রবেশ পথ বন্ধ হয়নি। খনি গহ্বরের নীচে রয়েছে পরিষ্কার অথচ বিষাক্ত জলের হ্রদ। বন্ধ হওয়ার পর কিছুদিন এলাকাবাসী ওই গুহাটিকে ডাম্পিং গ্রাউন্ড হিসাবে ব্যবহার করতেন। এছাড়া টিভি, ফ্রিজ, রেডিওর মতো ইলেক্ট্রনিক্স ওয়েস্ট ফেলা হত ওই গুহায়।
০৪০৮
সব শেষে ওই গুহাপথ দিয়েই ফেলে দেওয়া হয় ১০০০ পরিত্যক্ত গাড়ি। পাহাড়ি ঢাল এবং লেকের জলে সেই গাড়িগুলিই স্তূপাকারে জমে যায়। আকার নেয় কৃত্রিম এক গাড়ির পাহাড়ের।
০৫০৮
গাড়ি ফেলার পর থেকেই নাম হয় ক্যাভার্ন অব লস্ট সোলস বা ‘হারানো আত্মার গুহা’। অনেকে অবশ্য ‘ভূগর্ভস্থ গাড়ির পাহাড়’ বা ‘গাড়ির কবরস্থান’ও বলেন।
০৬০৮
তবে যে পথে গাড়িগুলি ফেলা হয়, সেখান দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করা যায় না। যেতে হয় পাহাড়ের গায়ের অন্য এক গুহা দিয়ে। সেই গুহামুখেও জল থাকে। সেখান থেকেই লেকের শুরু। জল বিষাক্ত। ছোট্ট ডিঙি নৌকা বেয়ে পৌঁছতে হয় গাড়ির পাহাড়ে।
০৭০৮
গুহার মুখ দিয়ে অল্প সময়ের জন্য প্রবেশ করে আলো। ওই আলোর রেখা লেকের জলে পড়ে। কিন্তু সব জায়গায় সেই আলো পড়ে না। ফলে জোরালো টর্চ নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করেন অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষজন। সেই আলো ফেলেই চলে ছবি তোলা।
০৮০৮
গুহাপথ দিয়ে ঢুকে তারপর নৌকা বেয়ে গাড়ির সমাধিস্থলের কাছে যাওয়া এবং ঘুরে আসতে পুরো এক দিন সময় লাগে। রহস্যময় এবং বিপদসঙ্কুল হলেও সৌন্দর্য আর অ্যাডভেঞ্চারের নেশায় অনেকেই দেখে আসেন খনির পেটে গাড়ির পাহাড়।