বেশ কয়েক দিনের বিরতির পর ফের উত্তপ্ত হল পাক-আফগান সীমান্ত। পাক সংবাদমাধ্যম ‘ডন’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, শুক্রবার রাত ১০টা থেকে চমন সীমান্তে দু’পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। রাতভর তা চলে। তবে এই গোলাগুলিতে এখনও পর্যন্ত কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। তবে পাকিস্তানের দিকে আহত হয়েছেন এক মহিলা-সহ তিন জন।
পাকিস্তানের বালোচিস্তান এবং আফগানিস্তানের কন্দহরকে বিভাজিত করেছে চমন সীমান্ত। এই সীমান্তে দুই দেশের বন্ধুত্বের স্মারক হিসাবে একটি বড় গেটও রয়েছে। তবে ইদানীং দুই দেশের মধ্যে সেই বন্ধুত্বের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। শুক্রবার রাতের সংঘর্ষের জন্য একে অপরকে দায়ী করেছে পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান। পাক আধিকারিকদের বক্তব্য, সীমান্তের বদানি অঞ্চল থেকে মর্টার শেল ছুড়েছে আফগান বাহিনী। আফগানিস্তানের তালিবান সরকারের মুখপাত্র জ়বিউল্লাহ মুজাহিদের পাল্টা দাবি, পাকিস্তানই প্রথমে হামলা চালিয়েছে, আর তার জবাব দিয়েছে আফগান বাহিনী।
তবে এই সংঘাত নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু জানায়নি পাক সেনা কিংবা পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রক। তবে পাক আধিকারিকদের উদ্ধৃত করে ‘ডন’ জানিয়েছে, পাকিস্তান আফগানিস্তানের হামলার উপযুক্ত জবাব দিয়েছে।
গত অক্টোবরে আফগানিস্তানের মাটিতে পাক বিমানহানা এবং সীমান্ত সংঘর্ষের পরে উত্তেজনা প্রশমন ও সংঘর্ষবিরতি কার্যকর করার লক্ষ্যে পশ্চিম এশিয়ায় কয়েক দফা আলোচনা করেছে পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান। পাকিস্তানের তরফে একাধিক বার আফগানিস্তানের মাটিতে সক্রিয় তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)-সহ বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীর উপর নজরদারি চালানো এবং কঠোর পদক্ষেপ করার দাবি তোলা হয়েছে। জবাবে পাক ফৌজের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানের সীমান্ত লঙ্ঘন এবং বিমানহামলার অভিযোগ তুলেছেন তালিবান প্রতিনিধিরা। কাবুলের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, টিটিপির উপর তাঁদের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই।