Advertisement
E-Paper

আইএস হানায় হত ১ মেলবোর্নে

আততায়ীর নাম উল্লেখ না করলেও, সে দাগি অপরাধী বলেই জানিয়েছে পুলিশ এবং অস্ট্রেলিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা। ঘটনার সময়ে বছর বাইশের ম্যার্কেল ভিলাসিন তখন সবে রেস্তরাঁর শিফট শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:৫১
—প্রতীকী ছবি।

—প্রতীকী ছবি।

দিনের আলোয় ব্যস্ত রাস্তায় একটা গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে কেউ। বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ এমন একটা খবর পেয়েই মেলবোর্নের ব্রুক স্ট্রিটে ছুটে যায় পুলিশ। আসে দমকলও। কিন্তু গিয়েই চোখ কপালে ওঠে পুলিশের। দাউদাউ করে জ্বলছে গাড়িটা। আর প্রায় সাড়ে পাঁচ ফুটের একটা লোক এলোপাথাড়ি ছুরি চালাচ্ছে। সামনে যাঁকে পাচ্ছে তাঁকেই। পর-পর তিন জনের মুখে-বুকে ছুরি চালিয়ে সেই দুষ্কৃতী হামলে পড়ে পুলিশের উপরেও। পাল্টা গুলি চালায় পুলিশ। সন্ধে নাগাদ খবর পাওয়া যায়, হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে হামলাকারীর। পথচারীদের মধ্যেও এক জন নিহত। পুলিশ প্রথমে হামলার উদ্দেশ্য নিয়ে ধন্দে ছিল। পরে আইএসের মুখপত্র ‘আমাক’ দায় স্বীকার করে। ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, ‘‘প্রশাসন সজাগ। আশা করি, অস্ট্রেলীয়রা এতে সন্ত্রস্ত হবেন না।’’

আততায়ীর নাম উল্লেখ না করলেও, সে দাগি অপরাধী বলেই জানিয়েছে পুলিশ এবং অস্ট্রেলিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা। ঘটনার সময়ে বছর বাইশের ম্যার্কেল ভিলাসিন তখন সবে রেস্তরাঁর শিফট শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন। তাঁর কথায়, ‘’চোখের সামনে একটা গাড়ি জ্বলতে দেখে থমকে যাই। তার পর একটা ভয়াবহ বিস্ফোরণের শব্দ কানে আসে। হুড়মুড়িয়ে পালাতে গিয়েই ওই লোকটাকে দেখতে পাই। খুব সম্ভব আফ্রিকান বংশোদ্ভূত। গায়ে কালো পোশাক, হাতে ছুরি। এক জন পাগলের মতো ছুটে গিয়ে তাকে আটকাতে গেল। কিন্তু ফিরল ছুরির ঘা খেয়ে। চোখমুখ থেকে অনর্গল রক্ত বেরোচ্ছিল ওই পথচারীর। আমি বা আমাদের ফ্লোর ম্যানেজার কেউ আর এগোতে সাহস করিনি। ছুরি হাতে ওই লোকটা যে ভাবে পুলিশের উপরেও চড়াও হল, তা দেখে সত্যিই ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।’’

Terrorism ISIS Death Australia
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy