Advertisement
E-Paper

ট্রাম্পের প্রথম বছর, কী পেলাম আর কী হারালাম

কেমন চলছে ট্রাম্প জমানা? লিখছেন রানা আইচপ্রেসিডেন্ট হয়েই তিনি কানাডা ও মেক্সিকোর সঙ্গে NAFTA বাণিজ্য চুক্তিটি নিয়ে কথা বলেছেন। নরমে গরমে দু’টি দেশকেই বোঝানোর চেষ্টা করছেন।

শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:০৩

কী রে, কেমন আছিস ট্রাম্প জমানায়?

সম্প্রতি দেশে ফিরে আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে যেখানেই দেখা হয়েছে, কুশলমঙ্গল আদানপ্রদানের পর প্রথমেই ধেয়ে এসেছে ওপরের প্রশ্নটা। সত্যি কথা বলতে কি, আমতা আমতা করে একটা ভাসা ভাসা জবাব দিয়েছি। ঠিক করে বোঝাতে পারিনি বা বোঝানোর ইচ্ছেও হয়তো ছিল না। চাপা হাসি হেসে জবাব দিয়েছি, খারাপ হবে কেন, বেশ ভালই তো আছি।

চাঙ্গা অর্থনৈতিক হাল

২০১৬-র ৭ নভেম্বর ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন পপুলার ভোটে হেরেও ইলেক্টোরাল কলেজের চক্করে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হলেন, তখন বহু লোকই মনে করেছিলেন যে মার্কিনিদের সুখের দিন বুঝি শেষ হল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে যে শত্তুরের মুখে ছাই দিয়ে আমেরিকা আবার ‘গ্রেট’ হচ্ছে। ২০০৮-এর মন্দাকে পিছে ফেলে মার্কিন অর্থনীতি টানা আট বছর ধরে একটু একটু করে বেড়েই চলেছে। ২০১৭-র জুলাই-সেপ্টেম্বর কোয়ার্টারে জিডিপি ৩.২ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। স্টক মার্কেটে হচ্ছে নিত্যনতুন রেকর্ড— তার মানে কর্মরত লোকেদের রিটিয়ারমেন্ট ফান্ড চড়চড় করে বাড়ছে, উচ্চ মধ্যবিত্তরা বেশ খুশি। চাকরির বাজারের অবস্থাও বেশ ভাল। বেকারত্ব কমতে কমতে এখন মোটে ৪.১ শতাংশ। বেশ মনে পড়ে, প্রেসিডেন্ট ওবামার জমানাতে অধুনা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বেকারত্ব কমে যাওয়ার সরকারি পরিসংখ্যানকে ব্যঙ্গ করে কতই না বিবৃতি দিতেন, বলতেন এ সব সরকারি ধাপ্পাবাজি। মার্কিন বেকারত্ব কম করে ৪০% হবেই হবে, সেখানে তিনিই এখন প্রেসিডেন্ট হয়ে এই তলানিতে ঠেকে যাওয়া বেকারত্বের কথা স্বগর্বে প্রচার করছেন। প্রতি মাসেই গড়পড়তা ১ লক্ষ ৭৫,০০০ নতুন চাকরি তৈরি হচ্ছে। তার ওপর সোনায় সোহাগা, কংগ্রেসে বছর শেষে পাশ হয়েছে কর ছাড়ের বিল। মানে ২০১৮-র মার্কিন অর্থবর্ষে লোকেদের পকেটে আরও টাকা ঢুকবে। অতএব, খারাপ যে আছি সে কথা মোটেও দাবি করা যাবে না। ভারতের লোকজনও বেশ খুশি। পাকিস্তানকে কেমন টাইট দিচ্ছে আমেরিকা, তা সবাই তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছে।

তবুও কেন যেন মনে হয় এ এক অদ্ভুত সময়ে বাস করছি আমরা।

আরও পড়ুন: মানুষের মনে আশঙ্কা ও বিরক্তি যুগপৎ বাড়িয়েছেন

বাণিজ্য

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময়ে ট্রাম্প যে ইস্যুগুলি নিয়ে সবচেয়ে বেশি ঝড় তুলেছিলেন তার মধ্যে একটা হল আন্তর্জাতিক বাণিজ্য। তাঁর বক্তব্য ছিল একদম চাঁচাছোলা। বলেছিলেন, চিন কৃত্রিম ভাবে তাদের মুদ্রার মূল্যহ্রাস করে যে ভাবে আমেরিকার সঙ্গে গা-জোয়ারি বাণিজ্য করে চলেছে তা একেবারেই অন্যায্য। ক্ষমতায় এলে উনি দেখিয়ে দেবেন কত ধানে কত চাল, দরকার পড়লে চিন থেকে আমদানি করা মালের ওপর চড়া শুল্ক বসাবেন। আর NAFTA (নর্থ আমেরিকান ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট) বাণিজ্য চুক্তিটি নিয়ে তিনি আমেরিকার প্রতিবেশী কানাডা ও মেক্সিকোর সঙ্গে দরাদরি করবেন। বেশি বাড়বাড়ি করলে কলমের এক খোঁচায় চুক্তিটি বাতিল করে দেবেন। কথা দিলেন যে প্রেসিডেন্ট ওবামার স্বপ্নের TPP (ট্রান্স প্যাসিফিক পার্টনারশিপ) চুক্তি যা অনেকটা চিনকে কোণঠাসা করার জন্য সলতে পাকানো হয়েছিল তা তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই বাতিল করে দেবেন এবং তিনি এই কথা রাখলেনও। পত্রপাঠ চুক্তিটির গঙ্গাপ্রাপ্তি হল। বলাই বাহুল্য, চুক্তিটি না হওয়াতে সবচেয়ে খুশি হয়েছে চিন।

প্রেসিডেন্ট হয়েই তিনি কানাডা ও মেক্সিকোর সঙ্গে NAFTA বাণিজ্য চুক্তিটি নিয়ে কথা বলেছেন। নরমে গরমে দু’টি দেশকেই বোঝানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু এই মুহূর্তে আলোচনা পুরো বিশ বাঁও জলে। মাঝখান থেকে কানাডার সঙ্গে এই বাণিজ্য নিয়ে শুরু হয়েছে তুলকালাম। কাঠ, দুগ্ধজাত পণ্য, বিমানপোত ও তার সাজসরঞ্জাম সরবরাহ নিয়ে বিবাদ এমন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে মার্কিন বাণিজ্য দফতর অ্যান্টি ডাম্পিং ডিউটিও বসিয়ে দিয়েছে। কানাডাও এই মার্কিন অভব্যতায় নিদারুণ বিরক্ত হয়ে ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনে দিয়েছে নালিশ ঠুকে।

অবাক কাণ্ড হচ্ছে, নির্বাচনী প্রচারের সময় যে চিনকে নিয়ে এত কথা, প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ট্রাম্প সে ব্যাপারে এখন আর ঝেড়ে কাশছেন না। এ দিকে দেখতে দেখতে এই গত নভেম্বর মাসে শুধু চিনের সঙ্গেই মার্কিন বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৫.৪ বিলিয়ন ডলার যা গত দু’বছরে সবচেয়ে বেশি। আর ওই নভেম্বরেই মোট মার্কিন বাণিজ্য ঘাটতি হয়েছে প্রায় ৫০.৫ বিলিয়ন ডলার (টাকার হিসেবে প্রায় ৩ লাখ ২৩ হাজার ২০০ কোটি) যা প্রায় গত পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।

অভিবাসন

২০১৬-র মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এই অভিবাসন ছিল এক অন্যতম ইস্যু। ট্রাম্প তাঁর রক্ষণশীল ভোটব্যাঙ্কের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে অভিবাসনের নামে ব্যাভিচার তিনি বন্ধ করবেন। দক্ষ্মিণ দিকে মেক্সিকোর সীমানা বরাবর তুলে দেবেন এক উঁচু পাঁচিল, যাতে মেক্সিকোর দিক থেকে আসা বেআইনি অভিবাসন বন্ধ করা যাবে। আর অবশ্যই পাঁচিল তৈরির খরচ মেক্সিকোকেই দিতে হবে! মুসলিমদের আমেরিকাতে ঢোকা বন্ধ করে দেবেন। তুলে দেবেন গ্রিন কার্ডের জন্য লটারি। শুধু তাই নয়, ভারতের মতো দেশ থেকে এইচ ওয়ান বি ভিসা নিয়ে আসা লোকজনদের ঢোকাও বন্ধ করে দেবেন। এই লোক ক্ষ্যাপানো কাজে এল বটে। শ্বেতাঙ্গ ভোটাররা দু’হাত তুলে ট্রাম্পকে ভোট দিলেন। ৬৩% শ্বেতাঙ্গ পুরুষ ও ৫৩% নারীর ভোট এনে দিল ট্রাম্পের কপালে জয়তিলক।

এবং করলেনও তাই। প্রেসিডেন্ট হওয়ার এক মাসের মধ্যে এক প্রেসিডেন্সিয়াল ডিক্রি জারি করে হাতে গুনে ছয়টি মুসলমান-প্রধান দেশের নাগরিকদের আমেরিকায় ঢোকা বন্ধ করে দিলেন। বেছে বেছে ছয়টি দেশ কেন সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠে গেল। সেই আদেশ জারি হওয়া মাত্র উদারপন্থীরা নিন্দায় সোচ্চার হলেন। দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে শুরু হল বিক্ষোভ। কিছু লোক ও রাজ্য সরকার ঠুকে দিলেন মামলা। সে মামলায় প্রথম দিকে কোর্ট ট্রাম্পের এই ডিক্রি অসাংবিধানিক ঘোষণা করলেও পরে রক্ষণশীল সুপ্রিম কোর্টে তা নাকচ হয়ে যায়। এইচ ওয়ান বি ভিসা নিয়ে শুরু হল চুড়ান্ত কড়াকড়ি। গত বছর জানুয়ারির শেষে ট্রাম্প আসার গুঁতোয় ভারতের সফ্টওয়ার কোম্পানিগুলোর শেয়ার পড়তে শুরু করল হু হু করে। যদিও এখন আবার কিছুটা হলেও পূর্বাবস্থায় ফিরে এসেছে। সম্প্রতি এই এইচ ওয়ান বি ভিসাধারীদের ৬ বছর এক্সটেনশনে থাকার পর তাদের গ্রিন কার্ড দেওয়া হবে কি হবে না তাই নিয়ে আবার শুরু হয়েছে অশান্তি। ফলে প্রায় পাঁচ লাখ ভারতীয় পরিবার, যারা এ দেশে গ্রিনকার্ডের অপেক্ষায় বসে আছে তাদের জীবনে নেমে এসেছে এক ঘোর অনিশ্চয়তা। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী এই প্রস্তাব আবার ঠান্ডাঘরে চলে গেছে, স্বস্তি নেমে এসেছে এখানকার অভিবাসী ভারতীয় সমাজে।

আমেরিকার বেআইনি অভিবাসীদের নিয়ে আর একটা সমস্যা হচ্ছে, যে সব মানুষ শৈশবাবস্থায় বেআইনি ভাবে এ দেশে ঢুকেছে, তাদের নিয়ে কী করা হবে। এদের তো সত্যিই তো কোনও দোষ নেই। ছোটবেলায় এদের মা-বাবারা এদেরকে এ দেশে এনেছেন। বেআইনি হলেও এরা আমেরিকার স্কুলে পড়েছে, এখানেই বড় হয়েছে, কেউ কেউ চাকরিও করছে। আমেরিকার বাইরে কোনও দেশই এরা চেনে না। মানবিকতার খাতিরে এদের কি এ দেশে থাকতে দেওয়া যায় না? সেই ২০০১ সাল থেকে এই নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। মার্কিন কংগ্রেসে এই নিয়ে কিছু বিলের খসড়াও করা হয়েছে। কিন্তু কোনও কিছুই দানা বাঁধেনি। ওবামা প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর Deferred Action for Childhood Arrivals (DACA) নামে এক অধ্যাদেশে এদেরকে (সংখ্যায় প্রায় ৭ লাখ) এ দেশে সম্মানজনক ভাবে থাকার এক সাময়িক সমাধান দেন। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার ১০ মাসের মধ্যে সেই DACA অধ্যাদেশটি প্রত্যাহার করে নেন। উল্টে কংগ্রেসকে নির্দেশ দেন এই নিয়ে বিল পাশ করার জন্য এবং আশ্বাস দেন তিনি সেই বিল বিনা বাক্যব্যয়ে স্বাক্ষর করে দেবেন। সম্প্রতি এক বিচারক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই আদেশকে সম্পূর্ণ নাকচ করে দিয়েছেন আবার ও দিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হুমকি দিয়ে রেখেছেন DACA বিলে তিনি তবেই স্বাক্ষর দেবেন যবে সেই বিলে মেক্সিকোর দিকে পাঁচিলের জন্য পয়সার সংস্থান করা হবে। এই নিয়ে এ দেশে এক তুমুল ধন্দ তৈরি হয়েছে। আকস্মিক এই ৭ লক্ষ অভিবাসীর ভবিষ্যৎ পুরোপুরি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

কিন্তু দুর্ভাগ্য ট্রাম্পের - মেক্সিকোর দিকে পাঁচিলটা আজও শুরু হয়নি। একেই মেক্সিকো বলে দিয়েছে তারা এক পয়সাও দেবে না (দেবেই বা কেন, এ তো এক প্রকার মামাবাড়ির আব্দার!) আর মার্কিন কংগ্রেসও বাজেটে পাঁচিলের জন্য পয়সা দিতে গাঁইগুঁই করছে। অতএব সেই পাঁচিল এখনও ট্রাম্পের আকাশকুসুম কল্পনা হিসেবেই থাকছে।

স্বাস্থ্য পরিষেবা

২০১৬-র মার্কিন নির্বাচনে যে স্লোগানটা নিয়ে সবচেয়ে বেশি বিভ্রান্ত হয়েছি তা হল ট্রাম্পের ওবামাকেয়ার তুলে দেওয়ার আহ্বান। ওবামাকেয়ার এ দেশে ২০১০ থেকেই চালু। পৃথিবীর যত উন্নত দেশ আছে তার মধ্যে আমেরিকাই একমাত্র দেশ যার কোনও সর্বজনীন স্বাস্থ্য পরিষেবা ছিল না। উদারনৈতিক রাজনীতিবিদ ওবামা প্রেসিডেন্ট হয়ে ‘সবার জন্য স্বাস্থ্য’ এই আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সেই আট বছর আগে এই হেল্থকেয়ার চালু করেন। এর ফলে আমেরিকার প্রায় দু’কোটি নতুন লোকের, যাদের এত দিন কোনও স্বাস্থ্যবিমা ছিল না তাদেরকে একপ্রকার সরকারি অনুদান দিয়ে এই স্বাস্থ্যবিমার আওতায় নিয়ে আসা হয়। বলতে দ্বিধা নেই যে এর ফলে অন্য লোকেদের স্বাস্থ্যবিমা প্রিমিয়াম বেশ ভাল রকম বেড়ে যায়। কিন্তু এই প্রচেষ্টাটা, যা ওবামা করে দেখালেন, তা এক কথায় যুগান্তকারী। শত অসুবিধে সত্ত্বেও তাকে এক কথায় নাকচ করে দেওয়াটাই ধৃষ্টতা। গণতন্ত্রের সুবিধাটা হচ্ছে, যখনই এ রকম কোনও সমস্যা হবে তখন সবার সঙ্গে আলোচনা করে সেই আইনের পরিমার্জনা করা যায়। ট্রাম্প কিন্তু সেই রাস্তাতেই হাঁটলেন না। উনি কট্টরপন্থীদের ভোট পাওয়ার জন্য ওবামাকেয়ার পুরোপুরি তুলে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করলেন। এবং যাতে আরও আশ্চর্য হলাম তা হল অনেক গরিব লোকে আবার একে সমর্থনও করলেন! অনেকটা ‘স্বাস্থ্য যায় যাক কিন্তু ট্রাম্প আসুক’ গোছের ব্যাপার। (এই সূত্রে স্বীকার করে নেওয়া ভাল, ব্যাপারটা তেমন সরলরৈখিক নয় মোটেও) ট্রাম্প তো বলেই দিলেন যে প্রেসিডেন্ট হওয়ার প্রথম দিনেই ওবামাকেয়ার আইনের রিপিল করে তবেই তিনি প্রেসিডেন্সিয়াল অন্ন গ্রহণ করবেন।

কিন্তু তিনি ভাবলেন এক, আর হল আর এক। দেখা গেল মার্কিন কংগ্রেসে (পড়ুন সেনেটে) এই আট বছরে ওবামাকেয়ারের কিছু রিপাব্লিকান সমর্থকও জুটে গেছে। গোটা দু’তিনেক রিপাব্লিকান সেনেটর, যাদের বিনা সেনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া মুশকিল, তারা এই আইন রদ করতে পুরোপুরি অস্বীকার করলেন। ফলে দু’কোটি লোক আবার পায়ের তলায় মাটি ফিরে পেল। তবে ট্রাম্প ও তার সাঙ্গোপাঙ্গরা যে এত সহজে হার মেনে যাবেন তা আশা না করাই ভাল। এর মধ্যেই ট্রাম্প এক আদেশের মাধ্যমে বিমা কোম্পানিগুলোকে গরিব ও অসুস্থ লোকেদের জন্য অনুদান বাবদ টাকা দেওয়া বন্ধ করেছেন। খুব চেষ্টা চালাচ্ছেন ওবামাকেয়ারের সব অবলম্বনগুলো ধাপে ধাপে তুলে দিতে। উদাহরণস্বরূপ উল্লেখ করা যেতে পারে, সদ্য পাশ হওয়া করছাড় আইনেও ওবামাকেয়ারের ‘ইন্ডিভিজুয়াল ম্যান্ডেট’ (অর্থাৎ প্রত্যেকের পরের বছরের জন্য স্বাস্থ্যবিমা কেনা বাধ্যতামূলক) বিধিটি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।

রকমসকম দেখে এই হাবাগোবারও মনে হচ্ছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ‘ওবামা’ নামটিতে বেশ জ্বলুনি আছে।

(লেখক ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা)

Donald Trump US Cotton Jubilee ডোনাল্ড ট্রাম্প US President
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy