Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Imran Khan

পরীক্ষায় দাউদ নিয়ে উল্টো সুর পাকিস্তানের

শনিবার মধ্যরাতে পাকিস্তান জানায়, করাচিতে দাউদের ঠিকানার বিষয়টি আসলে রাষ্ট্রপুঞ্জের দাবি।

ইমরান খান

ইমরান খান

সংবাদ সংস্থা
ইসলামাবাদ শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০২০ ০৪:২৪
Share: Save:

বলে ফেলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অস্বীকার। মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিম যে তাদের করাচি শহরেই রয়েছে, শনিবার দুপুরে প্রকাশিত একটি তালিকায় নিজেরাই তা কবুল করে ফেলেছিল ইমরান খান সরকার। টেলিভিশন ও অনলাইন সংবাদমাধ্যম বিষয়টি নিয়ে হইচই করার পরে শনিবার মধ্যরাতে পাকিস্তান জানায়, করাচিতে দাউদের ঠিকানার বিষয়টি আসলে রাষ্ট্রপুঞ্জের দাবি। রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রকাশ করা তালিকাটি তুলে ধরে পাক সরকার দেখাতে চেয়েছে, এই সব সন্ত্রাসবাদীর বিরুদ্ধে তারা কী কী কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। তারা নিজেরা অনেক বারই জানিয়েছে— দাউদ ইব্রাহিম পাকিস্তানে নেই। এ নিয়ে নতুন করে ‘বিভ্রান্তি’র অবকাশ নেই।

সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা এবং সন্ত্রাসে অর্থের জোগান বন্ধ করার বিষয়ে ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে পাকিস্তানকে ‘ধূসর’ তালিকাভুক্ত করেছে এফএটিএফ (ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স)। তা থেকে রেহাই পেতেই মাঝে মাঝে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পাকিস্তান দাবি করে, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে তারা কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছে। শনিবার তেমনই একটি বিজ্ঞপ্তিতে ইসলামাবাদ দাবি করে— দাউদ ইব্রাহিম, হাফিজ সইদ, মাসুদ আজহারদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ জারি করেছে তারা। তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও বাজেয়াপ্ত করা হবে। সেই বিজ্ঞপ্তিতে জঙ্গিদের নাম ও পরিচয় দিতে গিয়েই করাচিতে বসবাসকারী দাউদ ইব্রাহিমের উল্লেখ করা হয়। এর পরে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরুর পরেই মধ্যরাতে ‘সাফাই’ দেওয়ার চেষ্টা হয়। তবে প্রশ্ন উঠেছে, দাউদের অবস্থানকেই অস্বীকার করলে পাকিস্তান প্রশাসন কী ভাবে তার সম্পত্তি বা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করতে পারে। বিজ্ঞপ্তিটি যে নিছকই বাগাড়ম্বর, চারটি ফাঁপা ঘোষণার কথা শুনিয়ে এফএটিএফ-এর কাছে সাধু সাজার চেষ্টা— সেটা প্রকাশ হয়ে গিয়েছে বলে মনে করছেন পাকিস্তানেরই অনেকে।

১৯৯৩-এর মুম্বই বিস্ফোরণের প্রধান চক্রান্তকারী দাউদ যে পাকিস্তান প্রশাসনের আশ্রয় ও সেনাবাহিনীর কড়া সুরক্ষায় করাচিতে বসবাস করে, ব্যবসার কাজে মাঝে মাঝে দুবাইয়ে যায়, ভারত বরাবর সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য দিয়ে এসেছে পাকিস্তানকে। কিন্তু পাকিস্তান তা অস্বীকার করে এসেছে। ২০০৩-এ মার্কিন সরকার দাউদকে ‘বড় মাপের আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী’ হিসেবে ঘোষণা করে তাকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য পাকিস্তানকে বলে। এর পরে সিন্ধু নদ দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গিয়েছে, ভুট্টো পরিবার ও শরিফদের চক্রাবর্ত ভেঙে পাকিস্তানের শাসন ক্ষমতায় এসেছেন ইমরান। কিন্তু দাউদ নিয়ে নতুন সরকারের অবস্থানে কোনও পরিবর্তন হয়নি। এর মধ্যেই শনিবার তাদের বিজ্ঞপ্তিতেই মাফিয়া-শিরোমণির করাচি বাসের তথ্যটি স্বীকার করে ফেলেছিল ইসলামাবাদ। তবে ঘণ্টা কয়েকের মধ্যে ঢোক গিলে হাসির খোরাক হয়েছে তারা।

আরও পড়ুন: ট্রাম্প ‘নিষ্ঠুর’, গোপনে স্বীকারোক্তি তাঁর দিদির

আরও পড়ুন: মোদী-নামেই ভোট প্রচারে কুশলী ট্রাম্প

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE