পাকিস্তানের পেট্রোলিয়াম প্রতিমন্ত্রী মুসাদিক মালিক। ছবি: সংগৃহীত।
রমজান মাস চলছে। সেহরি এবং ইফতারের জন্য বাড়িতে বাড়িতে রান্নার গ্যাস প্রয়োজন। কিন্তু সেই গ্যাসেরই চরম সঙ্কট শুরু হয়েছে পাকিস্তান জুড়ে। রোজ ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে লোডশেডিংও এখন নিত্যদিনের ছবি। পরিস্থিতি বিশেষ করে খারাপ হতে শুরু করেছে করাচি শহরে। দেশের পেট্রোলিয়াম প্রতিমন্ত্রী মুসাদিক মালিক এর মধ্যেই ঘোষণা করেছেন যে, ২৪ ঘণ্টা দেশের সাধারণ মানুষের জন্য গ্যাস সরবরাহ সম্ভব না।
চাহিদার তুলনায় জোগান কমে যাওয়ার জন্যই গ্যাসের জন্য এমন তীব্র হাহাকার শুরু হয়েছে দেশ জুড়ে। মন্ত্রী এ-ও জানিয়েছেন যে, এখন থেকে ধনী ও গরিবদের গ্যাসের বিল আলাদা হবে। অর্থাৎ গ্যাস কিনতে গেলে ধনীদের অনেক বেশি টাকা খরচ করতে হবে। শাহবাজ় শরিফের জোট সরকার এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শুধু রান্নাই নয়, ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের শিল্প চালাতেও পাকিস্তানের বড় ভরসা ছিল প্রাকৃতিক গ্যাস। কিন্তু তীব্র আর্থিক সঙ্কটে ধুঁকতে থাকা পাকিস্তান সরকার এখন আর আগের মতো গ্যাস কিনতে পারছে না। ফলে ভাঁড়াড়ে টান পড়তে শুরু করেছে। যে সংস্থা গোটা দেশে গ্যাস সরবরাহ করে, তারা দিন কয়েক আগেই জানিয়ে দিয়েছে যে, করাচিতে ভারী ও মাঝারি শিল্পোৎপাদনের জন্য গ্যাস তারা আর সরবরাহ করতে পারবে না। কারণ পাইপে এখন আগের মতো পর্যাপ্ত গ্যাস আসছে না।
দেশের সাধারণ মানুষ যাতে সর্বক্ষণ গ্যাস সরবারহ পান, তার জন্য সম্প্রতি নিজের সরকারি আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ। এ নিয়ে কোনও গাফিলতি তিনি বরদাস্ত করবেন না বলেও জানান শরিফ। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সেই নির্দেশের পরেও পরিস্থিতির বদল হয়নি। মন্ত্রী মুসাদিক জানিয়েছেন, করাচির অবস্থা বিশেষ করে খারাপ বলে তিনি করাচি সফরে এসেছেন। সেহরি এবং ইফতারের সময়ে যাতে মানুষ বাড়িতে বিদ্যুৎ পান, সেই ব্যবস্থা করা হবে। ওই সময়ে রান্নার জন্য প্রতিটি বাড়িতে যাতে গ্যাস থাকে, দেখা হচ্ছে সেটাও। কিন্তু সেই সঙ্গেই তাঁর সাফ কথা, সারা সপ্তাহ জুড়ে গ্যাসের সরবরাহ করা এখন সরকারের পক্ষে সম্ভব না। করাচির এই অবস্থায় ক্ষুব্ধ এখানকার বণিক মহল। ‘করাচি চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’-র পক্ষ থেকে শরিফ সরকারকে এ নিয়ে অবিলম্বে হস্তক্ষেপের দাবি জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy