Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
India

সন্ত্রাস এবং আলোচনা একসঙ্গে নয়, এ বার মুখ খুললেন প্রাক্তন পাক কূটনীতিক

আগামী ১৩-১৪ জুন কিরঘিজস্তানের বিশকেকে শাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন সম্মেলনে (এসসিও) ভারত ও পাকিস্তান, দুই দেশের রাষ্ট্রনেতারাই যোগ দেবেন।

বিশকেকে মুখোমুখি হতে পারেন ইমরান খান ও নরেন্দ্র মোদী।—ফাইল চিত্র।

বিশকেকে মুখোমুখি হতে পারেন ইমরান খান ও নরেন্দ্র মোদী।—ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০১৯ ১৩:৪৫
Share: Save:

সন্ত্রাস দমনে সক্রিয় পদক্ষেপ না করলে পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক নয়, ভারতের তরফে বারে বারেই তা জানিয়ে দেওয়া হয়। এ বার তাতে সায় দিলেন প্রাক্তন পাক কূটনীতিক হুসেন হাক্কানিও। তাঁর কথায়, সন্ত্রাস এবং আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না। পাকিস্তান সরকার দেশের মাটিতে গড়ে ওঠা সন্ত্রাসী পরিকাঠামো গুঁড়িয়ে না দেওয়া পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে যত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকই হোক না কেন, তা ফলপ্রসূ হবে না।

আগামী ১৩-১৪ জুন কিরঘিজস্তানের বিশকেকে শাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন সম্মেলনে (এসসিও) ভারত ও পাকিস্তান, দুই দেশের রাষ্ট্রনেতারাই যোগ দেবেন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চিনের শি চিনফিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন নরেন্দ্র মোদী। সেখানে নতুন করে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক চালু করতে, গত সপ্তাহে নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লেখেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কিন্তু ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে সেই সম্ভাবনা খারিজ করে দেওয়া হয়। তার পরই ভারতের সিদ্ধান্তের সমর্থনে মুখ খুললেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রাক্তন পাক রাষ্ট্রদূত হুসেন হাক্কানি।

মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘‘১৯৫০ থেকে ২০১৫-র ডিসেম্বর পর্যন্ত দুই দেশের রাষ্ট্রনেতাদের মধ্যে ৪৫ বার সাক্ষাৎ হয়েছে। কিন্তু তা কখনও দীর্ঘস্থায়ী শান্তিস্থাপনে সহায়ক হয়নি।’’অন্য দিকে, আলোচনার রাস্তা একেবারে বন্ধ করে দেওয়া যেমন ঠিক নয়, তেমনই আলোচনাই একমাত্র পথ, এমনটাও মাথায় গেঁথে নেওয়া উচিত নয় বলে মত হাক্কানির।

আরও পড়ুন: পাক-বিজ্ঞাপনে নকল অভিনন্দন​

এই মুহূর্তে ওয়াশিংটনের হাডসন ইনস্টিটিউট-এ দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিভাগের ডিরেক্টর হুসেন হাক্কানি। পাক সরকার এবং জিহাদি আদর্শের কট্টর সমালোচক বলেই পরিচিত তিনি। এমনকি প্রকাশ্যেও ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ভারত-পাকিস্তান কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদনে তিনি লেখেন, ‘ভারত-পাক সম্পর্কের যা ইতিহাস, তাতে মোদী যদি মনে করেন যে, আন্তর্জাতিক মহলে সম্মান পেতেই পাকিস্তান বৈঠক করতে চাইছে, তা খুবই স্বাভাবিক। কারণ সন্ত্রাস দমনে এখনও পর্যন্ত কড়া পদক্ষেপ করেনি তারা। ভারতকে পাকাপাকি ভাবে শত্রু মেনে নিয়েছে পাকিস্তান। তারা অবস্থান না বদলানো পর্যন্ত, দায়সারা আলোচনা অর্থহীন।’

আরও পড়ুন: জুনে ভারত সফরে আসছেন পম্পেয়ো​

ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে অমীমাংসিত অনেক কিছু রয়ে গিয়েছে বলে মেনে নিয়েছেন হাক্কানি। কিন্তু দুই দেশের মধ্যে আদর্শগত যে ফারাক, বিশ্বের আর কোথাও তেমনটা চোখে পড়ে না বলে মত তাঁর।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE