Advertisement
০৬ মে ২০২৪

সফল মুখ প্রতিস্থাপন, আগুনে পোড়া চেহারা পেল নতুন পরিচয়

চোদ্দ বছর আগে আগুনে পুড়ে গিয়েছিল গোট মুখ। বিকৃত মুখ নিয়ে যাপন করতে করতে নিজের আসল চেহারাটা ভুলেই গিয়েছিলেন ৪১ বছরের প্যাট্রিক হার্ডসন। নিজেও ভাবতে পারেননি কোনওদিন আবার পাবেন সম্পূর্ণ নতুন চেহারা।

শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০১৫ ১০:৫১
Share: Save:

চোদ্দ বছর আগে আগুনে পুড়ে গিয়েছিল গোট মুখ। বিকৃত মুখ নিয়ে যাপন করতে করতে নিজের আসল চেহারাটা ভুলেই গিয়েছিলেন ৪১ বছরের প্যাট্রিক হার্ডসন। নিজেও ভাবতে পারেননি কোনওদিন আবার পাবেন সম্পূর্ণ নতুন চেহারা। সেই অসাধ্য সাধন করে দেখালেন নিউ ইয়র্কের সার্জনরা। পৃথিবীর প্রথম সফল ফেস ট্রান্সপ্লান্টে নতুন মুখ পেলেন প্যাট্রিক। সেই সঙ্হেই নতুন হল ইতিহাসের এক নয়া অধ্যায়

২০০১-এ আগুন লাগা বাড়ির ছাদ ভেঙে পড়েছিল প্যাট্রিকের মাথায়। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছিল গোটা মুখ। বীভত্স সেই চেহারা দেখে শিউরে উঠতেন নিজেই। অন্য দিকে ব্রুকলিনের ২৬ বছরের বাইক মেকানিক ডেভিড রোডবাউ। দুর্ঘটনায় প্রাণে বেঁচে গেলেও মৃত্যু ঘটেছিল মস্তিষ্কের। তাঁর মা চেয়েছিলেন ছেলে বেঁচে থাকুক অন্য মানুষদের মধ্যে। ডেভিডের গোটা মুখ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে প্যাট্রিকের ওপর। ডেভিডের হার্ট, কিডনি, লিভারও দান করেছেন তাঁর মা।

দাতা ডেভিড

আগাস্ট প্রায় ২৬ ঘণ্টা ধরে ১০০ জন চিকিত্সক প্যাট্রিকের মুখ প্রতিস্থাপন করেন। অস্ত্রপচারের ৯৩ দিন পর তাঁরা জানালেন প্যাট্রিক বিপন্মুক্ত। তাঁরা সফল। চিকিত্সরা জানাচ্ছেন, প্যাট্রিকের মরা-বাঁচার চান্স ছিল ৫০-৫০। রক্তের গ্রুপ, উচ্চতা, ওজন, ত্বকের রঙ, চুলের রঙ এবং অ্যান্টিবডি। এর কোনও একটা যদি প্যাট্রিকের শরীর গ্রহণ না করতো তাহলেই ঘটে যেত বড়সড় বিপদ। এর আগে এই ধরনের অস্ত্রপচারের ঘটনায় ৯০ দিনের মধ্যেই মৃত্যু হয়েছে গ্রহীতার।

দুর্ঘটনার আগে দুই মেয়ের সঙ্গে প্যাট্রিক

ডেভিডকে কোনওদিনই চিনতেন না প্যাট্রিক। তবু আজ তাঁর মুখ নিয়েই নতুন পরিচয় পেলেন তিনি। নিউ ইয়র্ক থেকে খুব শিগগিরই মিসিসিপির সেনাটোবিয়ায় নিজের বাড়িতে ফিরে আসবেন প্যাট্রিক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE