Advertisement
E-Paper

ভুয়ো ভিডিয়ো না মোছায় ক্ষিপ্ত পেলোসি

সম্প্রতি ওই ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়েছে, যাতে দেখা গিয়েছে ন্যান্সি জড়িয়ে জড়িয়ে কিছু কথা বলছেন। গত বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর কথা হওয়ার পরে ওই ভিডিয়োটি বিকৃত ভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয় বলে অভিযোগ।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০১৯ ০১:৪৬
ছবি এপি।

ছবি এপি।

আমেরিকার হাউসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসিকে নিয়ে যে ভুয়ো ভিডিয়ো ছড়িয়েছে, ফেসবুক তা সরাতে অস্বীকার করেছে। যা জানার পরে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন খোদ ন্যান্সি। তিনি আজ বলেছেন, ‘‘যা মিথ্যে, তা না সরিয়ে ওরা প্রমাণ করে দিয়েছে যে, ওরা আমাদের নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ নিয়ে সক্রিয় ছিল।’’ পেলোসির বক্তব্য, ‘‘আমরা বরাবরই বলে এসেছি, অসচেতন ভাবে হলেও বেচারা ফেসবুক রাশিয়ার চক্রান্তের শিকার হয়েছে। এখন সেটা আরও বুঝছি, তাই মিথ্যে জেনেও ওরা এই ভিডিয়ো রেখে দিয়েছে। আমি এটা নিতে পারছি না, কিন্তু ফেসবুক মানুষকে মিথ্যেটাই জানাচ্ছে।’’

সম্প্রতি ওই ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়েছে, যাতে দেখা গিয়েছে ন্যান্সি জড়িয়ে জড়িয়ে কিছু কথা বলছেন। গত বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর কথা হওয়ার পরে ওই ভিডিয়োটি বিকৃত ভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয় বলে অভিযোগ। ভিডিয়োটি দেখে কারও কারও মনে হয়েছে, ন্যান্সি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কিছু বলার চেষ্টা করেছেন। বিশেষজ্ঞদের দাবি, ভিডিয়োটি এক ঝলক দেখলে যে কেউই বুঝতে পারবেন, সেটি ভুয়ো। তা সত্ত্বেও সেটি ফেসবুক না সরানোয় আপত্তি উঠেছে। ইউটিউব অবশ্য ভিডিয়োটি নিয়ে আপত্তি ওঠার পরপরই সেটি সরিয়ে দিয়েছে।

ফেসবুকের বক্তব্য, তারা যদি কোনও পোস্ট, ছবি অথবা ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে চূড়ান্ত মতামত দেয়, তা হলে তারা নিজেরাই একটা অলিখিত ‘সেন্সরশিপ’-এর মধ্যে ঢুকে পড়বে। ফেসবুক বহুদিন আগেই পোস্ট সংক্রান্ত সত্যতা নিয়ে কোনও মন্তব্য করা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছে। কারণ তাতে তাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক বৈষম্য বা সেন্সরশিপের অভিযোগই উঠবে বলে তাদের দাবি।

২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট পদপ্রার্থী হিলারি ক্লিন্টনের পরাজয়ের পিছনে রুশ হস্তক্ষেপকে দায়ী করেন অনেকে। প্রাক্তন বিদেশসচিব হিলারি এ দিন ন্যান্সির পাশে দাঁড়িয়ে এই ভিডিয়ো প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘‘ভিডিয়োটা লিঙ্গবৈষম্যের জঘন্য নিদর্শন। ফেসবুক তবু ওটা সরাতে অস্বীকার করেছে।’’ তাঁর মতে, ‘‘ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে বিদেশি এবং দেশি বিভিন্ন ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠী বিভাজন, উগ্রপন্থা এবং ভুয়ো তথ্য ছড়ানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ ব্যবহারকারীরা অভিযোগ না জানালে ফেসবুক সেগুলো সরানোর কোনও উদ্যোগ দেখায় না। ফেসবুকের প্রতি আবেদন, তারা ভবিষ্যতে এ ধরনের ভুয়ো, মিথ্যে পোস্টের দিকে নজর দিক যাতে সেগুলো বিশাল সংখ্যক মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে না পড়ে।’’

Nancy pelosi Fake Video
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy