Advertisement
E-Paper

২৫০০ কিমি দূরে গিয়ে হামলায় সক্ষম টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র পাচ্ছে ইউক্রেন? ট্রাম্পের ‘না’ সত্ত্বেও হঠাৎ সম্মতি দিয়ে দিল পেন্টাগন!

দূরপাল্লার অত্যন্ত শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র টমাহক। এর মাধ্যমে দেড় হাজার কিলোমিটারের বেশি দূর পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুতে নিশানা করা যায়। দীর্ঘ দিন ধরে এই অস্ত্র চাইছে ইউক্রেন।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২৫ ০৮:১৩
(বাঁ দিকে) আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রাথমিক ভাবে ‘না’ বলেছিলেন। কিন্তু পেন্টাগন সবুজ সঙ্কেত দিয়ে দিল। ইউক্রেনকে শক্তিশালী দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র টমাহক কি তবে দিয়েই দেবে আমেরিকা? পূর্ব ইউরোপে যুদ্ধের ঝাঁজ আরও বাড়বে? জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও পেন্টাগনের সম্মতির পর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন ট্রাম্পই। তিনি রাজনৈতিক ভাবে পর্যালোচনা করে ঠিক করবেন, আদৌ ইউক্রেনের হাতে টমাহক তুলে দেওয়ার সময় এসেছে কি না।

দূরপাল্লার অত্যন্ত শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র টমাহক। এর মাধ্যমে দেড় হাজার মাইলের (২৫০০ কিমি) বেশি দূর পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুতে নিশানা করা যায়। এই অস্ত্র আমেরিকার হাতে রয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র চেয়ে ট্রাম্পের কাছে দরবার করে আসছেন। কিছু দিন আগে জ়েলেনস্কিকে ট্রাম্প একরকম সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, এই মুহূর্তে তাঁদের টমাহক দেওয়ার কোনও ভাবনা নেই আমেরিকার। তবে তার কয়েক দিন পরেই পেন্টাগনের সম্মতি এল।

আমেরিকার সংবাদমাধ্যমে দাবি, টমাহক ইউক্রেনকে দেওয়া হলে বা তারা তা ব্যবহার করলে আমেরিকার কোনও ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। এমনটাই জানানো হয়েছে পেন্টাগনের তরফে। অর্থাৎ, অর্থনৈতিক, সামরিক দিক বিবেচনা করে তাদের এতে আপত্তি নেই। কিন্তু ইউক্রেন টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র পেলে রাজনৈতিক ভাবে তার কী প্রভাব পড়তে পারে গোটা বিশ্বে, তা বিবেচনা করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট স্বয়ং। পেন্টাগনের সম্মতির পর এখন শুধু ট্রাম্পের সম্মতি পেলেই ইউক্রেন বহুকাঙ্ক্ষিত অস্ত্র আদায় করতে পারবে। ট্রাম্প কী করবেন, এখনও স্পষ্ট নয়।

চলতি মাসের শুরুতে জ়েলেনস্কির সঙ্গে ট্রাম্পের মধ্যাহ্নভোজনে টমাহক প্রসঙ্গ উঠেছিল। ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘‘আমরা এমন জিনিস দিয়ে দিতে পারি না, যেটা আমাদের নিজেদের দেশকে রক্ষার জন্য দরকার।’’ মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই বক্তব্যে অনেকেই অবাক হয়েছিলেন। কারণ, তার ঠিক কয়েক দিন আগেই ট্রাম্প দাবি করেন, আমেরিকার কাছে অনেক টমাহক রয়েছে।

জ়েলেনস্কির সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজনের আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল ট্রাম্পের। মনে করা হচ্ছে, সেই আলোচনার পর টমাহক নিয়ে অবস্থান বদল করেছেন ট্রাম্প। কারণ, এই অস্ত্র হাতে পেলে ইউক্রেন অনিবার্য ভাবে তা রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রয়োগ করবে। রাশিয়ার ভূখণ্ডে তেলের খনি, ট্যাঙ্কারগুলিকে টমাহকের মাধ্যমে নিশানা করতে সুবিধা হবে জ়েলেনস্কিদের। পেন্টাগনের সিদ্ধান্তের পর ট্রাম্প কী করেন, সে দিকে চোখ সকলের।

Russia Ukraine Conflict Volodymyr Zelenskyy Donald Trump Pentagon Tomahawk Missile
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy