ঘরোয়া আলোচনায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও চিনের প্রেসিডেন্ট। উহানে, শুক্রবার।
ক্যালেন্ডারে ২৭ এপ্রিল, শুক্রবার দিনটি ইতিহাসের পাতায় চলে গেল। এশিয়ায় দু’-দু’টি ঘটনার দৌলতে।
ভারতে যখন ভোরের আলো ফোটেনি, তখন দীর্ঘ ১১ বছর পর সোলে মুখোমুখি বৈঠকে বসলেন উত্তর ও দক্ষিণ, দুই কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট।
আর ভারতে যখন সকালের রোদ একটু কড়া হয়েছে, তখন চিনে পৌঁছে গেলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, দু’দিনের সফরে। ডোকলাম ঘিরে ৭২ দিনের উত্তেজনার পর এই প্রথম। ৪০ মিনিটের ঘরোয়া বৈঠকে বসলেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিংয়ের সঙ্গে। সেই বৈঠকের আগে দু’দেশের সম্পর্কের বরফ গলাতে চিনফিংয়ের সঙ্গে মোদী ঘুরে দেখলেন মধ্য চিনে হুবেই প্রদেশের রাজধানী, চিনের প্রয়াত নেতা মাও জে দঙের অত্যন্ত প্রিয় শহর উহানের ঐতিহ্যবাহী মিউজিয়াম, গেলেন সেখানকার একটি হ্রদে। আর সেই হ্রদে গিয়ে নৌকাবিহার করলেন দু’জনে। ঘুরতে ঘুরতে, নৌকাবিহারের আনন্দ উপভোগ করতে করতেই চিনফিংয়ের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা হল ভারতের প্রধানমন্ত্রীর। আগে থেকে সেই আলাপ-আলোচনার কোনও সরকারি অ্যাজেন্ডাও ঠিক করা ছিল না। যা মনে এসেছে দু’জনের, মুখোমুখি দেখা হলে যে যে বিষয়গুলি তুলবেন বলে ভেবেছিলেন, সম্ভবত সেই সব বিষয়েই খোলাখুলি আলোচনা হয়েছে দু’জনের। পূর্ব নির্ধারিত আনুষ্ঠানিক বৈঠক ছাড়া আলাপ-আলোচনার জন্য চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিংকে আগামী বছরে ভারতে আসার আমন্ত্রণও জানিযেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
সফরের শেষ দিনে, আগামী কাল শনিবার বেজিংয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে বৈঠকে বসার কথা মোদী ও চিনফিংয়ের। তাঁদের সেই মুখোমুখি বৈঠকে আর থাকবেন দুই দোভাষী। সেই বৈঠকের কোনও অ্যাজেন্ডা নেই বলে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে আগেই জানানো হয়েছে।
দিল্লি থেকে এ দিন রওনা হওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ‘‘দ্বিপাক্ষিক থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক স্তরে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আমি কথা বলব চিনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে। গত কয়েক মাসে ভারত-চিন সম্পর্কের হাল কতটা ফিরল, তাও খতিয়ে দেখা হবে। আলোচনা করব সেই সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়েও।’’
উহানে পৌঁছে এ দিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময়েও এক বার এসেছিলেন চিনের এই এলাকায়। তাঁর সে কথা মনে পড়ে যাচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy