ফাইল চিত্র।
কাশ্মীর পরিস্থিতি এবং গোধরা পরবর্তী গুজরাত দাঙ্গার প্রসঙ্গ উঠল ব্রিটিশ পার্লামেন্টে। যা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত। গত কাল হাউস অব কমন্সে পার্লামেন্টের নির্বাচিত কিছু সদস্য কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয় নিয়ে সরব হন। যাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত লেবার পার্টির এমপি নাজ় শাহ। যা মোটেও ভাল চোখে দেখছে না নয়াদিল্লি। লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনের এক কর্তা নরেন্দ্র মোদীর নাম না করেই বলেছেন, ‘‘এ ভাবে বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ গণতান্ত্রিক এক দেশের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর উপরে আক্রমণ দুঃখজনক ঘটনা।’’ সেই সঙ্গেই তাঁর বক্তব্য, কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। অন্য কোনও দেশের পার্লামেন্টের নির্বাচিত সদস্যেরা সেখানকার বিষয় নিয়ে আলোচনা করলে তাঁদের আগে থেকে সব তথ্য যাচাই করে কথা বলা উচিত।
হাউস অব কমন্সে গত বছর মার্চে এই বিতর্ক সভা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতিতে তা পিছিয়ে যায়। তার আগে, গত বছর ফেব্রুয়ারিতে পাক অধিকৃত কাশ্মীর সফরে গিয়েছিলেন লেবার পার্টির আর এক এমপি ডেবি আব্রাহামস। তাঁর কথায়, ‘‘মানবাধিকার লঙ্ঘন সংক্রান্ত সব বিষয়ে প্রশ্নের অনুমতি দিয়েছিল পাকিস্তান সরকার। আমার মতে, ত্রিপাক্ষিক আলোচনার কেন্দ্রে রাখা উচিত কাশ্মীরকে। কোনও নির্দিষ্ট দেশের পক্ষে বা বিপক্ষে কথা বলার জন্য এই বিতর্কসভার আয়োজন হয়নি। মানবাধিকারের পক্ষে সওয়ালের জন্য এটা করা হয়েছে।’’
তবে কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে মেনে নিয়েছেন ব্রিটেনের ‘ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস’-এর এশিয়া সংক্রান্ত মন্ত্রী আমান্ডা মিলিং। বিতর্ক সভা নিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘ব্রিটিশ সরকার এখনও কাশ্মীরকে দ্বিপাক্ষিক বিষয় বলেই মনে করে। কাশ্মীর প্রসঙ্গকে গুরুত্ব দিয়ে দেখে। কিন্তু ভারত আর পাকিস্তানকেই আলোচনার মাধ্যমে এর রাজনৈতিক সমাধান খুঁজতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy