রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ
এক দিন নয়। বছরে দু’বার পালন করা হয় তাঁর জন্মদিন। ব্রিটিশ রাজ পরিবারের ইতিহাসে এমনটাই হয়ে আসছে। একটি আক্ষরিক অর্থেই রাজা বা রানির জন্মতারিখ। অন্যটি জনতার উৎসব। প্রতি বছরই গ্রীষ্মের কোনও এক সময়ে ব্রিটেনের রাজা বা রানির ‘দ্বিতীয়’ জন্মদিন পালিত হয়।
আজ ছিল ‘প্রথম’টি। উইনসরে খুব নিরিবিলিতে ৯১তম জন্মদিনটা কাটালেন ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ।
২১ এপ্রিল, ১৯২৬। তখন পঞ্চম জর্জের রাজত্বকাল। লন্ডনে জন্মালেন এলিজাবেথ আলেকজান্দ্রা মেরি। ১৯৫২ সালে ব্রিটেনের রানির সিংহাসনে বসেন মেরি। তখন থেকেই দ্বিতীয় এলিজাবেথ নামে সারা বিশ্বের কাছে পরিচিত তিনি। গত বছর খুব ধুমধাম করে তাঁর জন্মদিন পালিত হয়েছিল গোটা ব্রিটেনে। রানির ৯০তম জন্মদিন মনে রাখার জন্য সারা বছর ধরে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজনও করা হয়েছিল। তবে এ বছর লন্ডনের হাইড পার্কে গান স্যালুট ছাড়া তেমন আর কোনও অনুষ্ঠান হয়নি।
বাকি সমারোহের সবটুকুই তুলে রাখা হয়েছে ১৭ জুনের জন্য। এ বার ওই দিনই রানির আনুষ্ঠানিক জন্মদিনটি পালন করা হবে বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে খবর। কোনও নির্দিষ্ট দিনে নয়, একটা শনিবার দেখে সাধারণত ওই ‘দ্বিতীয়’ জন্মদিন পালন করা হয়। যার আনুষ্ঠানিক নাম ‘ট্রুপিং দ্য কালার’। গত ৬৫ বছরে মাত্র এক বারই সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা হয়নি রানির। সে বার ইংল্যান্ডে একটি ধর্মঘটের কারণে বাতিল হয়ে যায় ‘ট্রুপিং দ্য কালার’ অনুষ্ঠান।
১৭৪৮ সালে রাজা দ্বিতীয় জর্জ প্রথম এই রীতির সূচনা করেছিলেন। তাঁর জন্মদিন ছিল নভেম্বরে। ইংল্যান্ডে ঠান্ডায় জন্মদিনের কুচকাওয়াজে অংশ নেওয়াটা বড্ড মুশকিলের। তিনি স্থির করেন, গ্রীষ্মের কোনও এক দিন ব্রিটেনের রাজা বা রানির আনুষ্ঠানিক জন্মদিন পালিত হবে। তার পর থেকে ব্রিটিশ রাজ পরিবারে সেই রীতিই অনুসরণ করা হয়ে থাকে। প্রথম দিকে কোনও এক বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিক জন্মদিনের দিন ধার্য করা হতো। পরে সেটিকে ছুটির দিন অর্থাৎ শনিবার করা হয়। যাতে দেশের সাধারণ মানুষ সেই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy