Advertisement
E-Paper

ভুয়ো খবর! কাজ গেল সাংবাদিকের

পত্রিকাটির মুদ্রিত এবং অনলাইন সংস্করণ— দু’টিই যথেষ্ট জনপ্রিয়। এমন খবরের পত্রিকার সাংবাদিক-সম্পাদকের বিরুদ্ধে ভুয়ো খবর করার অভিযোগ অবশ্যই বড় ধাক্কা, মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পত্রিকার বিদেশ বিভাগের ডেপুটি সম্পাদক ম্যাচু ভন রোর টুইটে বলেছেন, ‘‘আমি অত্যন্ত ক্রুদ্ধ, হতবাক, বিরক্ত, স্তম্ভিত। উনি আমাদের সবাইকে ঠকিয়েছেন।’’ 

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৩:২৮
—প্রতীকী ছবি।

—প্রতীকী ছবি।

টানা সাত বছর ধরে একাধিক ভুয়ো খবর করে গিয়েছেন তিনি। ইউরোপের প্রথম সারির সাপ্তাহিক খবরের পত্রিকা এই অভিযোগে পত্রপাঠ সরিয়ে দিয়েছে তাদের ‘তারকা’ সাংবাদিক ক্লাস রেলুৎসিয়সকে। ৭১ বছরের পুরনো সেই পত্রিকা ‘ডেয়ার স্পিগেল’ জানিয়েছে, ‘‘আমাদের সাংবাদিক এবং সম্পাদক ক্লাস রেলুৎসিয়স তাঁর লেখায় বারংবার ভুয়ো তথ্য দিয়েছেন। চরিত্র ‘উদ্ভাবন’ করে ভুয়ো লেখার মাধ্যমে পাঠক এবং সহকর্মীদের ঠকিয়েছেন তিনি।’’

পত্রিকাটির মুদ্রিত এবং অনলাইন সংস্করণ— দু’টিই যথেষ্ট জনপ্রিয়। এমন খবরের পত্রিকার সাংবাদিক-সম্পাদকের বিরুদ্ধে ভুয়ো খবর করার অভিযোগ অবশ্যই বড় ধাক্কা, মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পত্রিকার বিদেশ বিভাগের ডেপুটি সম্পাদক ম্যাচু ভন রোর টুইটে বলেছেন, ‘‘আমি অত্যন্ত ক্রুদ্ধ, হতবাক, বিরক্ত, স্তম্ভিত। উনি আমাদের সবাইকে ঠকিয়েছেন।’’

রেলুৎসিয়সের সঙ্গে আমেরিকায় কাজ করতে গিয়ে এক সহকর্মীর প্রথম সন্দেহ হয়। তার পর ডেয়ার স্পিগেল-এর অন্তর্তদন্তে গত সপ্তাহে রেলুৎসিয়স বিষয়টি স্বীকার করে নেন। সোমবার পত্রিকার নির্দেশমতো তিনি ইস্তফা দেন। ২০১১ সালে ফ্রিলান্সার হিসেবে তিনি এই পত্রিকায় যোগ দিয়েছিলেন। দেড় বছর আগে তাঁকে সম্পাদকের পদ দেওয়া হয়। ৩৩ বছর বয়সি এই সাংবাদিক স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছেন, ডেয়ার স্পিগেল-এর জন্য লেখা ৬০টি প্রতিবেদনের মধ্যে অন্তত ১৪টি-তে আংশিক জাল তথ্য রয়েছে। কখনও কারও উদ্ধৃতি পাল্টে দেওয়া, কখনও বা নয়া চরিত্র তৈরি করে তার মুখে কথা বসানো— এমন নানা কাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি।

যদিও পত্রিকার দাবি, ১৪টি নয়, আরও বেশ কিছু লেখায় রেলুৎসিয়স নানা কারিকুরি করেছেন, যার প্রভাব পড়বে অন্য অনেক সংবাদ প্রতিষ্ঠানেও। কারণ রেলুৎসিয়স আরও বেশ কিছু কাগজে আগে লেখালেখি করেছেন। পেয়েছেন নানা পুরস্কারও। যে সব লেখার জন্য তিনি সম্মানিত হয়েছেন, তার মধ্যে বেশ কয়েকটির সত্যতা এখন প্রশ্নের মুখে। সেগুলি তাই এখন তদন্তাধীন। তার মধ্যে রয়েছে ‘লায়ন চিলড্রেন’ নামে একটি প্রতিবেদন। যাতে দুই ইরাকি শিশুর গল্প রয়েছে। আইএস তাদের অপহরণ করে মগজধোলাই করেছে বলে দাবি করা হয়েছে লেখাটিতে। রয়েছে ‘নাম্বার ৪৪০’ নামে একটি লেখাও। গুয়ান্তানামো বে-তে আটক কয়েদিদের অভিজ্ঞতার কথা রয়েছে সেখানে। ডেয়ার স্পিগেল এগুলি নিয়ে ফের তদন্ত চালাবে বলে জানিয়েছে। পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে তাঁর লেখাগুলি থাকবে, কিন্তু লেখার উপরে পাঠকদের জন্য সতর্কীকরণ দেওয়া থাকবে।

Der Speige Claas Relotius Fake News
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy