যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য আগামী সোমবার তুরস্কের ইস্তানবুলে মুখোমুখি বৈঠকের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির সরকার তাতে সাড়া দেয়নি। বৃহস্পতিবার এই অভিযোগ করল রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দফতর।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘‘ইউক্রেন আদৌ শান্তিবৈঠকে অংশ নেবে কি না, তা জানার জন্য আমরা অপেক্ষায় আছি।’’ অন্য দিকে, আলোচনায় বসার আগে মস্কোকে যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত আলোচনা নিয়ে তাদের প্রস্তাব পাঠানোর দাবি জানিয়েছে কিভ। পুতিনের নিরাপত্তা উপদেষ্টা, সে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব সের্গেই শোইগু বৃহস্পতিবার সকালে দ্বিতীয় দফার শান্তিবৈঠকের কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পরেই অনিশ্চয়তার বার্তা দিলেন পেসকভ।
আরও পড়ুন:
তিন বছর যুদ্ধের পরে প্রথম বার কোনও মধ্যস্থতাকারী ছাড়াই গত ১৭ মে মুখোমুখি আলোচনায় বসেছিল দু’পক্ষ। কোনও পূর্বশর্ত এবং তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা ছাড়াই হয়েছিল ওই বৈঠক। যুদ্ধবিরতি নিয়ে ঐকমত্য না-হলেও তুরস্কের ইস্তানবুলের রয়্যাল প্যালেসে আয়োজিত ওই বৈঠকে যুদ্ধবন্দি বিনিময়ের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মস্কো এবং কিভ। দু’পক্ষই ১০০০ জন করে যুদ্ধবন্দিকে মুক্তি দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, চলতি সপ্তাহেই তা পালিত হয়েছে। যদিও তারই মধ্যে রুশ আক্রমণের অভিঘাত আরও তীব্র হয়েছে। পুতিনের বাহিনী ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে থাকা কুর্স্ক অঞ্চল পুনরুদ্ধার করেছে। এমনকি, ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড ডনেৎস্কের বিস্তীর্ণ এলাকা হাতছাড়া হয়েছে জ়েলেনস্কির ফৌজের। ফলে যুদ্ধবিরতির শর্ত নিয়ে কিভ কিছুটা অনমনীয় হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।