তুরস্কের বিদেশমন্ত্রী হাকান ফিদান দু’পক্ষের সঙ্গেই সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন। কিন্তু তাঁর দেশের ইস্তানবুলে রুশ ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি আলোচনায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিলেন না বৃহস্পতিবার।
এই আবহে বৃহস্পতিবা রাতে যুদ্ধবিরতি নিয়ে দু’পক্ষের প্রতিনিধি স্তরের মুখোমুখি বৈঠক শুরু হয়েছে। রুশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উপদেষ্টা ভ্লাদিমির মেডিনস্কি। অন্যদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি সে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভকে প্রতিনিধিদলের নেতা হিসাবে ইস্তানবুলে পাঠিয়েছেন।
যুদ্ধবিরতি-বৈঠকে অংশ না নিলেও জ়েলেনস্কিও বৃহস্পতিবার গিয়েছেন তুরস্কে। রাজধানী আঙ্কারায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তাইপ এর্ডোগানের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। প্রসঙ্গত, গত রবিবার পুতিন জানিয়েছিলেন, কোনও মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে নয় সরাসরি ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী রাশিয়া। তারই প্রেক্ষিতে সোমবার জ়েলেনস্কি বলেন, ‘‘আগামী ১৫ মে (বৃহস্পতিবার) তুরস্কে পুতিনের জন্য আমি অপেক্ষা করব।’’ তবে জ়েলেনস্কি আঙ্কারায় গেলেও অনুপস্থিত পুতিন। ফলে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আদৌ ক্রেমলিনের সদিচ্ছা আছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বৃহস্পতিবার।