আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ফাইল চিত্র।
সাড়ে চার দশক আগে চাপের মুখে এমন ভাবেই তড়িঘড়ি দক্ষিণ ভিয়েতনাম থেকে পাততাড়ি গুটিয়েছিল আমেরিকায় সেনা। আর তার পরে উত্তর ভিয়েতনামের মদতে পুষ্ট ভিয়েত কং গেরিলা বাহিনী দখল নিয়েছিল রাজধানী সায়গনের।
আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ঘটনাপর্বের সঙ্গে ১৯৭৩ সালে ভিয়েতনাম থেকে সেনা প্রত্যাহার-পর্বের মিল খুঁজে পাচ্ছেন অনেকেই। সেই সঙ্গেই মিল খুঁজে পাচ্ছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের আশ্বাসবাণীর। দক্ষিণ ভিয়েতনাম থেকে আমেরিকার সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরে নিক্সনও জানিয়েছিলেন, কমিউনিস্ট গেরিলাদের পক্ষে সে দেশ দখল করা সহজ হবে না। জুলাইয়ে একই আশ্বাসবাণী শোনা গিয়েছে বাইডেনের মুখে। ফলে আমেরিকার নাগরিকদের একাংশের সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি।
এই পরিস্থিতিতে সোমবার বিকেলে (ভারতীয় সময় গভীর রাতে) আফগান পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করবেন বাইডেন। টুইটারে তিনি নিজেই এ কথা ঘোষণা করেছেন। লিখেছেন, ‘আজ বিকেল ৩টে ৪৫ মিনিটে আমি আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেব’।
I will be addressing the nation on Afghanistan at 3:45 PM ET today.
— President Biden (@POTUS) August 16, 2021
শুধু বাইডেন নন, আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভানও বলেছিলেন, ‘‘আফগানিস্তানে বড় ধরনের সামরিক উপস্থিতি ছাড়াই আমরা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কার্যকর লড়াইয়ে সক্ষম।’’ সোমবার তিনি বলেন, ‘‘সামরিক বিশেষজ্ঞদের ধারণার চেয়ে অনেক দ্রুত আফগান পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।’’
আমেরিকার প্রবীণ নাগরিকদের একাংশ বলছেন, ভিয়েতনাম যুদ্ধপর্বেও সায়গনের পতনের পর নানা সাফাই দিয়েছিল পেন্টাগন। তবে সে সময় সেনা প্রত্যাহারের জোরদার দাবি ছিল আমেরিকার অন্দরে। আফগানিস্তানে আমেরিকার সেনার প্রাণহানি তুলনায় অনেক কম হওয়ার কারণে এবং ৯/১১ সন্ত্রাসের স্মৃতি এখনও তাজা থাকায় সে ভাবে সেনা ফেরানোর দাবি ওঠেনি আমেরিকার নাগরিক সমাজে। ফলে সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে বাইডেনকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy