Advertisement
০৫ মে ২০২৪
Belt and Road Initiative

চিনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ প্রকল্পে আপত্তি তুলল ভারত, এসসিও বৈঠকে ভিন্ন সুর কেবল নয়াদিল্লিরই

এসসিও বৈঠকের শেষে সদস্য রাষ্ট্রগুলি একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে জানায়, যৌথ ভাবে তৈরি হওয়া এই প্রকল্পকে তারা সমর্থন করছে। তবে উল্লেখযোগ্য ভাবে এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর ছিল না ভারতের।

SCO summit India reiterates opposition to China belt and road initiative

এসসিও বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ অন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলির রাষ্ট্রপ্রধানেরা। —পিটিআই।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৩ ১৬:১২
Share: Save:

চিনের স্বপ্নের প্রকল্প ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ নিয়ে আরও এক বার নিজেদের আপত্তির কথা জানাল ভারত। শাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) গোষ্ঠীর বৈঠকে সব সদস্যরাষ্ট্র চিনের এই প্রকল্পকে সমর্থন জানালেও এই বিষয়ে সায় মেলেনি নয়াদিল্লির তরফে।

সাম্প্রতিক এসসিও বৈঠকের শেষে সদস্য রাষ্ট্রগুলি একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে জানায়, যৌথ ভাবে তৈরি হওয়া এই প্রকল্পকে তারা সমর্থন করছে। এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর ছিল রাশিয়া, পাকিস্তান, কাজাকিস্তান-সহ প্রায় সব সদস্য রাষ্ট্রের। তবে উল্লেখযোগ্য ভাবে এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর ছিল না ভারতের। এসসিও বৈঠকের সূচনাতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর ভার্চুয়াল ভাষণে জানিয়েছিলেন, এসসিও গোষ্ঠীর সনদকে মান্যতা দেওয়া উচিত সকলের। এর পাশাপাশি চিনের নাম না করেই সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতা রক্ষার জন্য সওয়াল করেন তিনি।

দীর্ঘ দিন ধরেই নয়াদিল্লির আপত্তি রয়েছে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ প্রকল্পের একটি নির্দিষ্ট অংশ নিয়ে। চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (সিপিইসি) নামের এই রাস্তা চিন অধিকৃত উইঘুর এলাকা শিনজিয়াং‌য়ের কাশগড়কে যুক্ত করেছে পাকিস্তানের গ্বদর সমুদ্র বন্দরের সঙ্গে। ওই রাস্তার একটি অংশ গিয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের গিলগিট-বালটিস্তান এলাকার ভিতর দিয়ে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে পাকিস্তানের অংশ বলে স্বীকার করে না ভারত। তাই নয়াদিল্লির যুক্তি, এই রাস্তা তৈরি করে ভারতের সার্বভৌমত্বে ভাগ বসিয়েছে বেজিং।

এসসিও বৈঠকে প্রথম বারের জন্য সভাপতিত্ব করেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সভাপতিত্বে মঙ্গলবার ওই ভার্চুয়াল শীর্ষ বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন পাকিস্তান-সহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতারা। সেখানে মোদী বলেন, ‘‘আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে সবচেয়ে বড় অন্তরায় হল সন্ত্রাসবাদ। আমাদের তার বিরুদ্ধে লড়তে হবে।’’ এর পরেই পাকিস্তানের নাম না-করে তাঁর মন্তব্য, ‘‘কিছু দেশের নীতিই হল সীমান্ত পারের সন্ত্রাসকে মদত দেওয়া। তাদের নিন্দা করার ক্ষেত্রে কোনও দ্বিধা থাকা উচিত নয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Belt and Road Initiative Narendra Modi China
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE