Advertisement
E-Paper

ধর্মীয় সহিষ্ণুতায় গুরুত্ব স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের নীলের

নীলের বাবা কলকাতার চিকিৎসক, মা ছিলেন ওয়েলসের নার্স। ৫০ বছর বয়সি এই অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার জানান, ব্রিটেনে যারা সন্ত্রাসবাদী হামলা করতে চাইছে, তাদের অনেকে এ দেশেরই।

সংবাদসংস্থা

শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০১৯ ০২:১৩
স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের সন্ত্রাসদমন বিভাগের প্রধান নীল বসু।—ছবি সংগৃহীত।

স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের সন্ত্রাসদমন বিভাগের প্রধান নীল বসু।—ছবি সংগৃহীত।

সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায় ধর্মীয় সহিষ্ণুতা এবং সকলকে নিয়ে একসঙ্গে চলা প্রয়োজন বলে জানালেন স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের সন্ত্রাসদমন বিভাগের প্রধান নীল বসু। তাঁর কথায়, ‘‘শুধু নিরাপত্তাবাহিনী দিয়ে সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করা যায় না। এমন সমাজ প্রয়োজন, যেখানে সকলের ধর্মীয় স্বাধীনতা থাকবে এবং সকলেই পরস্পরের ধর্মকে সম্মান করবেন। সমাজে মিলেমিশে থাকতে হবে বলে নিজের ধর্মাচরণ করতে পারব না, নিজেকে লুকিয়ে রাখতে হবে, ব্রিটেনের সমাজ তেমন নয়।’’

নীলের বাবা কলকাতার চিকিৎসক, মা ছিলেন ওয়েলসের নার্স। ৫০ বছর বয়সি এই অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার জানান, ব্রিটেনে যারা সন্ত্রাসবাদী হামলা করতে চাইছে, তাদের অনেকে এ দেশেরই। ফলে দেশের ভিতরে সামাজিক সমস্যা সমাধানে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। শিক্ষায় গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। শুধু পুলিশ দিয়ে উগ্রপন্থা দমন করা যায় না। তাঁর কথায়, ‘‘আপনি যে ধর্মেরই হন, খুব রক্ষণশীল হলেও আমি বলব যে অন্য কারও ক্ষতি না করলে তাতে দোষ নেই। নিজের সব কিছু লুকিয়ে আত্তীকরণ

ঘটাতে হবে, এটা সম্ভব নয়। শিক্ষা, সকলকে সমান সুযোগ দিয়ে সব ধর্মের মানুষকে সমাজে শামিল করতে হবে। আপনি খোলাখুলি নিজের ধর্ম পালন করবেন এবং তা অন্যেরা সম্মান করবেন এবং আপনিও অন্যের ধর্মাচরণকে সম্মান করবেন, এ ভাবেই হিংসা কমানো যাবে। ’’

নীল জানান, সন্ত্রাস দমনে তাঁর দল বিশ্বের এক নম্বর। কিন্তু লোকে জঙ্গি দলে, উগ্র দক্ষিণপন্থী দলে কেন নাম লেখাচ্ছে, তা দেখতে হবে। সেটা বন্ধ করতে হবে। এজন্য সমাজত্ত্ববিদ, অধ্যাপকদের পরামর্শ চেয়েছেন তিনি।

Neil Basu Scotland Yard Religious Tolerance
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy