বিমানের ধ্বংসাবশেষ। এএফপি-র তোলা ছবি।
বিমানের ভিতরের কোনও গোলযোগ নয়, বাইরের কোনও কারণেই মিশরের সিনাই-এ ভেঙে পড়েছে রুশ বিমান। সোমবার রুশ-সরকারের এক উচ্চপদস্থ কর্তা এমনই দাবি করলেন। এ ক্ষেত্রে সন্ত্রাসের আশঙ্কাকেও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ওই কর্তা। বিমানটি ধ্বংস হওয়ার পরে সিনাই-এ সক্রিয় ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর জঙ্গিরা বিমানটি ধ্বংস করেছে বলে দাবি করেছিল। যদিও বিমানটির ব্ল্যাকবক্সের তথ্য বিশ্লেষণের কাজ এখনও শেষ হয়নি।
৩১ অক্টোবর ২১৭ জন যাত্রী নিয়ে মিশরের সৈকত শহর শার্ম আল-শেখ থেকে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ-এ যাওয়ার সময়ে ভেঙে পড়ে রুশ বিমানসংস্থা কোগালিমাভিয়া (মেট্রোজেট)-এর এয়ারবাস এ-৩২১ বিমানটি। সাত জন বিমানকর্মী-সহ মোট ২২৪ জনের মৃত্যু হয়। প্রায় ১১৪ জনের দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। দেহগুলি রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই বিমানের অধিকাংশ যাত্রী মিশরে ঘুরতে এসেছিলেন। বিমানটি ধ্বংস হওয়ার পরে নানা মহল থেকে সন্ত্রাসের আশঙ্কার কথা তোলা হচ্ছিল। এর পরেই আইএস বিমানটি ধ্বংসের দাবি তোলে। এ দিনের রুশ কর্তার কথায় সেই আশঙ্কাই আর দৃঢ় হচ্ছে। রাশিয়ার সাম্প্রতিক সিরিয়া রাজনীতির কারণে, এই আশঙ্কাকে উড়িয়ে দেননি অনেক বিশেষজ্ঞই।
বেশ কয়েক দিন ধরেই সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাসার আল-আসাদ-এর হয়ে লড়াইয়ে নেমেছে রাশিয়া। সে ক্ষেত্রে আইএস-এর উপরেও হামলা চালিয়ে রুশ যুদ্ধবিমান। যদিও আসাদ বিরোধী পশ্চিম বিশ্ব সমর্থিত বিদ্রোহীদের থেকে আইএস-এর উপরে রুশ হামলা হয়েছে তুলনামূলক ভাবে কম। তার পরেও আইএস-এর দাবি নিয়ে বিশেষজ্ঞরা শঙ্কিত ছিল। তা ছাড়া সিনাই অ়ঞ্চলে ইসালামী মৌলবাদী জঙ্গিরা বেশ সক্রিয়। নানা সময়ে মিশরের সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে তারা। এই অঞ্চলে আইএস-এর প্রভাব বিস্তারের খবরও আসছিল। ফলে আইএস-এর দাবিকে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এ দিন রুশ কর্তাদের কথায় তেমনি ইঙ্গিত মিলেছে। একই সঙ্গে রুশ বিমানসংস্থার কর্তাই বিমানের কোনও গোলযোগ থাকার কথা অস্বীকার করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy