কিম জং উন। —ফাইল চিত্র।
পড়শি দেশ দক্ষিণ কোরিয়া এবং আমেরিকার উপর নজরদারি করতে গত বছর নভেম্বরে পৃথিবীর কক্ষপথে নিজেদের প্রথম ‘চর’ উপগ্রহ পাঠিয়েছিল কিম জং উনের দেশ উত্তর কোরিয়া। তবে এ বার তাদের দ্বিতীয় চর উপগ্রহের উৎক্ষেপণ প্রক্রিয়া সফল হল না। সরকারি সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, গত কাল স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৪৪ মিনিটে আর একটি ‘চর’ উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছিল পিয়ংইয়্যাং। কিন্তু উৎক্ষেপণের চার মিনিটের মাথায় সেটি পীত সাগরে টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙে পড়ে।
উপগ্রহ ভেঙে পড়ার পিছনে রকেটের ইঞ্জিনে যান্ত্রিক ত্রুটি রয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে দাবি কেসিএনএ-র। বিশেষজ্ঞেরা জানান, এই প্রথম তরল অক্সিজেন-পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে উত্তর কোরিয়া। সেটির গোলযোগের কারণেই কয়েক মিনিটের মধ্যে সমুদ্রে ভেঙে পড়ে উপগ্রহটি। চলতি বছরে অন্তত তিনটি এই ধরনের উপগ্রহ উৎক্ষেপণের লক্ষ্য নিয়ে তাঁর দেশ এগোবে বলে জানান কিম। বছরের প্রথম উপগ্রহটি এ ভাবে ভেঙে পড়ায় কিমের সেই কর্মসূচি বেশ কিছুটা ধাক্কা খেল বলে মনে করা হচ্ছে।
গত কালই সোলে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে বসেছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইয়োল, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিয়ো কিশিদা এবং চিনের প্রধানমন্ত্রী লি ছিয়াং। বিষয়টি নিয়ে কিম যে আদৌ খুশি নন, সেই বার্তা দিতেই গত কাল উৎক্ষেপণের দিন ধার্য করা হয়েছিল বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা। এই ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের বিরোধিতা করে গত কালই বিবৃতি দিয়েছে উত্তর কোরিয়ার বিদেশ মন্ত্রক। কোরীয় উপদ্বীপ এলাকার ভারসাম্য ও স্থিতিশীলতা নষ্টের উদ্দেশ্যে দক্ষিণ কোরিয়া বৈঠকের আয়োজন করেছে বলেও অভিযোগ কিমের দেশের।
উত্তর কোরিয়ার উপরে এই ধরনের উপগ্রহ উৎক্ষেপণের ক্ষেত্রে আগে থেকেই নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছে আমেরিকা। ফলে তাদের এই উৎক্ষেপণের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিয়েছে আমেরিকার বন্ধু দেশ দক্ষিণ কোরিয়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy