Advertisement
০৩ মে ২০২৪

মেয়ের কথা ভাবছিলেন ট্রাম্প: স্টর্মি

এক ঘণ্টার শোয়ে কখনও তিনি মুখ খুললেন হোটেলের ঘরে ট্রাম্পের কুৎসিত আচরণ নিয়ে, কখনও বললেন, কী ভাবে মেয়ের সামনে তাঁকে ভয় দেখানো হয়েছিল, তা নিয়ে।

সঞ্চালকের মুখোমুখি স্টর্মি ড্যানিয়েলস। ছবি: রয়টার্স

সঞ্চালকের মুখোমুখি স্টর্মি ড্যানিয়েলস। ছবি: রয়টার্স

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০১৮ ০৩:১২
Share: Save:

শেষমেশ ক্যামেরার সামনে মুখ খুললেন পর্ন-তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলস।

বিপত্তির শুরুই হয়েছিল সংবাদমাধ্যমে তাঁর মুখ খোলা নিয়ে। স্টর্মির নাম প্রথম প্রকাশ্যে আসে ২০১৬ সালে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময়ে। সেই সময়ে কিছু পত্রপত্রিকা তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ২০০৬ সালে স্টর্মির সম্পর্কের খবর খুঁড়ে বার করে। তার পর থেকে একের পর এক বিতর্কিত তথ্য উঠে এসেছে ট্রাম্প-স্টর্মিকে নিয়ে। রবিবার সেই সমস্ত প্রসঙ্গই উঠে এল একটি মার্কিন টিভি চ্যানেলকে দেওয়া স্টর্মির সাক্ষাৎকারে।

এক ঘণ্টার শোয়ে কখনও তিনি মুখ খুললেন হোটেলের ঘরে ট্রাম্পের কুৎসিত আচরণ নিয়ে, কখনও বললেন, কী ভাবে মেয়ের সামনে তাঁকে ভয় দেখানো হয়েছিল, তা নিয়ে। দাবি করেছেন, ট্রাম্প নাকি বলেছিলেন, তাঁকে দেখলে ইভাঙ্কার কথা মনে পড়ে। এর আগে একই দাবি জানিয়েছিলেন প্লেবয় মডেল ক্যারেন ম্যাকডোগালও।

অনুষ্ঠানের সঞ্চালককে স্টর্মি জানান, ২০১১ সালে ট্রাম্প জানতে পেরেছিলেন একটি পত্রিকাকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। এ-ও জানতে পারেন, তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়েও কথা হয়েছে ওই সাক্ষাৎকারে। এর পরেই তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল, দাবি স্টর্মির। পর্ন-তারকার কথায়, ‘‘আমি তখন পার্কিং লটে, মেয়েকে নিয়ে ফিটনেস ক্লাসে যাচ্ছিলাম। হঠাৎই একটি লোক এগিয়ে আসে। বলে, ট্রাম্পকে একা ছেড়ে দিন। ওই সব গল্প ভুলে যান।’’ বলে চলেন স্টর্মি, ‘‘...তার পরেই আমার মেয়ের দিকে তাকায় লোকটা। বলে, বাহ, কী মিষ্টি বাচ্চা। ওর মায়ের কিছু হয়ে গেলে খারাপ লাগবে।’’

কিন্তু এই ‘হুমকি’র পরেও দেশের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস দেখাচ্ছেন কী ভাবে? স্টর্মি জানান, আত্মসম্মান বজায় রাখতেই সাক্ষাৎকার দেওয়ার সিদ্ধান্ত তাঁর। বলেন, ‘‘লোকজনের যা ইচ্ছে আমার সম্পর্কে বলে যাচ্ছে। তাতে আমার অসুবিধা নেই। কিন্তু আমাকে কেউ ‘মিথ্যুক’ প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করলে বরদাস্ত করব না। লোকে ভাবছে, আমি অর্থের জন্য এ সব করছি।’’

স্পষ্টই বলেন, ‘‘আমি কোনও যৌন নিগৃহীতা নই।’’ স্টর্মির মতে, এ ধরনের ঘটনায় পরিস্থিতি যখন হাতের বাইরে চলে যায়, অনেক মহিলাই বলেন ‘ধর্ষণ’, ‘যৌন হেনস্তা’। যদিও তাঁর তেমন কোনও অভিযোগ নেই। জানান, অনেকে বলছেন, তিনিও ‘মি টু’-র মুখ। সেটা একেবারেই নয়। বরং জোর দিয়েই জানান, যে যৌন সম্পর্ক তাঁদের মধ্যে হয়েছিল, সেটা সম্পূর্ণ ভাবে দু’পক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে। কিন্তু এটাও দাবি করেন, শারীরিক সম্পর্কের সময়ে সুরক্ষা (কন্ডোম) নেননি ট্রাম্প।

স্টর্মির অভিযোগ শুধু এটুকুই, ক্ষমতার অপব্যবহার করে যে ভাবে তাঁকে ভয় দেখানো হয়েছে বা হচ্ছে, সেটা ঠিক নয়। দাবি করেন, কী ভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ১১ দিন আগে তাঁকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার ডলার দিয়ে মুখ বন্ধ করানো হয়েছিল। পর্ন-তারকার কথায়, ‘‘ওরা বুঝিয়ে দিয়েছিল, আমার কাছে অন্য কোনও পথ খোলা নেই। জীবন কী ভাবে নরক বানিয়ে দিতে হয়, ওরা জানে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE