Advertisement
E-Paper

ইমরানের ইস্তফা চেয়ে ধর্নায় বিরোধীরা, পাশে দাঁড়িয়ে বিবৃতি দিল সেনা

পাকিস্তানের গত সাধারণ নির্বাচনে ইমরানের দলের জয়ের পিছনে পাক সেনার ভূমিকা নিয়ে বরাবরই সরব বিরোধীরা।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:৩৪
ইসলামাবাদে বিক্ষোভ ফজলুর রহমানের অনুগামীদের। রবিবার। এএফপি

ইসলামাবাদে বিক্ষোভ ফজলুর রহমানের অনুগামীদের। রবিবার। এএফপি

ইস্তফা দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে বিরোধী নেতা ফজলুর রহমানের সময়সীমা শেষ হচ্ছে আজ। ইমরানের উপরে চাপ আরও বাড়িয়ে ইসলামাবাদে বিরোধীদের ধর্নায় সামিল হতে পারে বিলাবল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি। এই পরিস্থিতিতে ইমরানের পাশে দাঁড়িয়েছে পাক সেনা।

পাকিস্তানের গত সাধারণ নির্বাচনে ইমরানের দলের জয়ের পিছনে পাক সেনার ভূমিকা নিয়ে বরাবরই সরব বিরোধীরা। চলতি সপ্তাহে ইমরান সরকারের পদত্যাগের দাবিতে সিন্ধু প্রদেশ থেকে ‘আজাদি মার্চ’ শুরু করেন ফজলুর রহমান ও তাঁর অনুগামীরা। তাঁকে সমর্থন করে অন্য বিরোধী দলগুলিও।

শুক্রবার ইসলামবাদে পৌঁছয় ফজলুরের যাত্রা। সেখানে এক বিশাল জনসভায় তিনি বলেন, ‘‘২০১৮ সালের ২৫ জুলাই পাকিস্তানে অবৈধ নির্বাচন হয়েছে। আমরা এই সরকারকে এক বছর সময় দিয়েছি। আর সময় দেওয়া সম্ভব নয়।’’ ইমরানকে ‘পাকিস্তানের গর্বাচেভ’ অ্যাখ্যা দিয়ে ফজলুর বলেন, ‘‘ওঁকে দু’দিনের মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে।’’ সেইসঙ্গে হুমকির সুরে বলেন, ‘‘বিক্ষোভকারীরা এখনও শান্ত আছেন। কিন্তু পরে সমস্যা হতে পারে।’’ পাশাপাশি ইসলামাবাদে ফজলুরের বাড়িতে তাঁর সঙ্গে আলোচনায় বসেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির বিলাবল ভুট্টো জারদারি, পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের আহসান ইকবাল, খাজা আসিফ, পাখতুনখোয়া মিল্লি আওয়ামি পার্টির মেহমুদ খান আছাকজ়াইয়ের মতো বিরোধী নেতারা। সেই সঙ্গে দেশের ‘শক্তিশালী’ প্রতিষ্ঠানগুলিকে নিরপেক্ষ থাকতে অনুরোধ করেন ফজলুর। ‘শক্তিশালী’ প্রতিষ্ঠান বলতে তিনি যে সেনাকে বুঝিয়েছেন, তা নিয়ে পাক রাজনীতিকদের সন্দেহ ছিল না।

শনিবার পাক সেনার মুখপাত্র আসিফ গফুর বলেন, ‘‘ফজলুর রহমান প্রবীণ রাজনীতিক। তিনি কোন প্রতিষ্ঠানের কথা বলতে চাইছেন, তা স্পষ্ট করা উচিত। সেনা নির্বাচিত সরকারের পাশেই আছে।’’ ২০১৮-র নির্বাচনের সময়ে সেনা মোতায়েন হওয়ার পক্ষেও সওয়াল করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, সেনা সংবিধান মেনেই দায়িত্ব পালন করছিল।

বিক্ষোভের মুখে এখনও অবিচলই রয়েছেন ইমরান। শুক্রবারই গিলগিট-বালটিস্তানে এক সভায় তিনি বলেন, ‘‘ইসলামাবাদে জমায়েত হওয়া বিক্ষোভকারীদের খাবার ফুরিয়ে গেলে খাবার পৌঁছে দেওয়া হবে। কিন্তু অন্য কোনও ধরনের সুবিধে পাওয়ার আশা তাঁরা ত্যাগ করতে পারেন। এখন আর ইসলামের কথা বলে পাকিস্তানে ক্ষমতা দখল করা যায় না।’’

Pakistan Imran Khan Fazal-ur-Rehman
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy