প্রথামাফিক: দেহরক্ষী বাহিনীর প্রাক্তন উপপ্রধান সুথিদা তিজাইকে বিয়ে করলেন তাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালঙ্গকর্ন। এটি তাঁর চতুর্থ বিয়ে। তাইল্যান্ডের রাজপরিবার সূত্রে বৃহস্পতিবার প্রকাশ করা হয়েছে এই ছবি। এএফপি
আগামী শনিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে সিংহাসনে বসার কথা তাঁর। তাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালঙ্গকর্ন তার আগেই চতুর্থ বিয়েটা সেরে ফেললেন। গত কাল রাজপ্রাসাদে এক আদ্যন্ত ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে বছর চল্লিশের সুথিদা তিজাইকে বিয়ে করেন ৬৬ বছরের রাজা। তাইল্যান্ডের নতুন রানি এর আগে রাজার দেহরক্ষী বাহিনীর প্রধান ছিলেন।
২০১৬ সালে মারা যান ভাজিরালঙ্গকর্নের বাবা রাজা ভুমিবল অদুল্যদেজ। প্রায় ৭০ বছর ধরে তাইল্যান্ডের রাজা ছিলেন অদুল্যদেজ। তাঁর মৃত্যুর পরে দীর্ঘদিন ধরে শোকপালন করা হয় গোটা দেশে। ভাজিরলঙ্গকর্ন এত দিন ধরে দেশের সাংবিধানিক রাজার দায়িত্ব পালন করলেও আনুষ্ঠানিক ভাবে তাঁর সিংহাসনে আরোহণ করা হয়নি। আগামী পরশু সেই অনুষ্ঠানই হওয়ার কথা রাজপ্রাসাদে। নববধূকে নিয়ে সেখানে উপস্থিত থাকবেন তিনি। বৌদ্ধ ও ব্রাহ্মণ মতে নানা আচার পালন করার কথা তাঁর।
তাই টিভি চ্যানেলে বিয়ের কিছু অনুষ্ঠানের ছবি দেখানো হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে হাল্কা গোলাপি রঙা পা ঢাকা সিল্কের পোশাকে বিয়ের নানা আচার মানছেন নতুন রানি। রাজাকে তিনি ট্রে-তে করে ফুল আর সুগন্ধী ধূপকাঠি উপহার দিচ্ছেন। নতুন রানিকে রাজা রাজপরিবারের নানা ঐতিহ্যশালী জিনিস উপহার দেন। সাদা পোশাক পরা রাজার পাশে এক সময়ে হাসি মুখে বসে থাকতেও দেখা গিয়েছে নতুন রানিকে।
রাজার বাহিনীতে যোগ দেওয়ার আগে তাই এয়ারওয়েজে বিমান সেবিকার কাজ করতেন রানি সুথিদা। অনেকেই মনে করেন বিমানেই নতুন রানির সঙ্গে প্রথম আলাপ হয়েছিল রাজার। তার পরে প্রেম। এর আগে তিন জন স্ত্রী ছিল তাই রাজার। রয়েছে সাত সন্তানও। শেষ বার ২০১৪ সালে বিচ্ছেদ হয় তাঁর। রাজার সঙ্গে আলাপ ও বন্ধুত্বের পরে বিমানসেবিকার কাজ ছেড়ে দেন সুথিদা। ২০১৩ সালে রাজপরিবারের সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। নিরাপত্তা বাহিনীর উপ-প্রধান হিসেবে কাজ করেছেন এত দিন। সেনাবাহিনীর প্রধান রাজা নিজেই।
টিভি চ্যানেলে বিয়ের ছবি আর খবর দেখে প্রায় চমকে উঠেছেন দেশের মানুষ। রাজা যে সিংহাসন আরোহণের আগেই বিয়েটা সেরে ফেলবেন, ঘুণাক্ষরেও তা টের পাননি কেউই। তবে চমকে উঠলেও মুখ খুলছেন না কেউ। কারণ তাইল্যান্ডের নিয়ম অনুযায়ী, রানির সমালোচনা বা তাঁকে উদ্দেশ করে অপমানসূচক মন্তব্য করা যায় না। কেউ সেটা করলে শাস্তি হিসেবে সর্বোচ্চ ১৫ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে তাঁর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy