Advertisement
E-Paper

ফের তাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্তযুদ্ধ, গোলাবর্ষণের জবাবে যুদ্ধবিমান হানা! ট্রাম্পের উপস্থিতিতে সই করা চুক্তি ব্যর্থ

সীমান্তে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে দুই সেনার গুরুতর আহত হওয়ার পরেই গত ১০ নভেম্বর পড়শি দেশ কম্বোডিয়ার সঙ্গে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি মুলতুবি রাখার কথা ঘোষণা করেছিল তাইল্যান্ড।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ২৩:৩৩
তাইল্যান্ড বায়ুসেনার যুদ্ধবিমানের হানা কম্বোডিয়া সেনাঘাঁটিতে!

তাইল্যান্ড বায়ুসেনার যুদ্ধবিমানের হানা কম্বোডিয়া সেনাঘাঁটিতে! ছবি: সংগৃহীত।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশীর সীমান্তসংঘাত সোমবার পুরোদস্তুর যুদ্ধের আকার ধারণ করল। সীমান্তে কম্বোডিয়া ফৌজের হামলায় এক সেনার মৃত্যুর জবাব দিতে তাইল্যান্ড বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান হানা দিল কম্বোডিয়া সেনাঘাঁটিতে!

সীমান্তে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে দুই সেনার গুরুতর আহত হওয়ার পরেই গত ১০ নভেম্বর পড়শি দেশ কম্বোডিয়ার সঙ্গে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি মুলতুবি রাখার কথা ঘোষণা করেছিল তাইল্যান্ড। তখন থেকেই নতুন করে সংঘাতের জল্পনা ছড়াতে শুরু করেছিল। এই আবহে সোমবার সকালে তাইল্যান্ড সেনার মুখপাত্র মেজর জেনারেল উইনথাই সুবারি জানান, ভোরবেলা কম্বোডিয়ার হানায় তাঁদের এক সেনার মৃত্যু হয়েছে। আহত সাত জন। তাইল্যান্ডের অনুপং সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে মর্টার ছুড়েছে কম্বোডিয়া ফৌজ। তার পরেই কম্বোডিয়ার সামরিক পরিকাঠামো লক্ষ্য করে পাল্টা হামলা চালানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

যদিও কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা দফতরের মুখপাত্র মালি সোচিয়াতা সেই অভিযোগ খারিজ বলেন, ‘‘আজ ভোরে প্রিয়াহ ভিহিয়ার ও ওদ্দার মিনচে প্রদেশে কম্বোডিয়ার সেনাদের ওপর তাইল্যান্ডের বাহিনীই প্রথম হামলা চালিয়েছে। আমাদের তরফে কোনও প্ররোচনা ছিল না।’’ গত ২৬ অক্টোবর মালয়েশিয়া আসিয়ান সম্মেলনের ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে তাইল্যাল্ড এবং কম্বোডিয়ার মধ্যে স্থায়ী সংঘর্ষবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। দুই দেশের শীর্ষ নেতৃত্বকে পাশে বসিয়ে শান্তিচুক্তিতে সই করিয়ে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘‘এই দিনটা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সকল মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’’ কিন্তু দেড় মাসের মধ্যেই ট্রাম্পের সেই ‘সাফল্যের দাবি’ ফিকে হয়ে গেল।

বিতর্কিত ‘পান্না ত্রিভুজ’-এর দখলদারি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে টানাপড়েন চলছে ব্যাঙ্কক-নম পেনের মধ্যে। তাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া এবং আর এক পড়শি দেশ লাওসের সীমান্তবর্তী ওই ভূখণ্ডের দখল নিয়ে ১৯৬২ সালে আন্তর্জাতিক আদালত (ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস বা আইসিজে) যে রায় দিয়েছিল, তা অনেকটা কম্বোডিয়ার পক্ষেই গিয়েছিল। কিন্তু চলতি বছরের মে মাসের শেষপর্বে কম্বোডিয়া সেনা সেখানে শিবির ও পরিখা নির্মাণের তৎপরতা শুরু করার পরে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়। জুলাইয়ের গোড়ায় সরাসরি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়া— দুই দেশের সেনাবাহিনী। তাতে দু’তরফেরই বেশ কয়েক জন সেনা ও অসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছিলেন। আতঙ্কে ঘরছাড়া হয়েছিলেন, সীমান্তবর্তী এলাকার কয়েক হাজার নাগরিক। জুলাইয়ের শেষপর্বে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেট এবং তাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাইকের উপস্থিতিতে সাময়িক সংঘর্ষবিরতি সমঝোতা হয়েছিল। কিন্তু তা একতরফা ভাবে ভেঙে দিল তাইল্যান্ড।

Bangkok Cambodia
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy