এই নীল চোখই ঝড় তুলেছিল নেট দুনিয়ায়। ছবি: জিয়া আলির ইনস্টাগ্রাম পেজের সৌজন্যে।
সেই নীল চোখকে কে ভুলতে পেরেছে? মোহময়ী চাহনি নিয়ে চা ঢালছিলেন। আরশাদ খান। মোক্ষম সময়ে একটা ক্যামেরার ক্লিক। পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায়। নিমেষে ইন্টারনেট সেনসেশনে পরিণত হন পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের শহরতলির বাসিন্দা সেই চা-ওয়ালা। জনপ্রিয়তার সুবাদে চা-বিক্রেতা থেকে সোজাসুজি পৌঁছে গিয়েছিলেন মডেলিং-এর দুনিয়ায়। বাদ যায়নি বড় পর্দায় সাইন করাও। কিন্তু সম্প্রতি জানা যাচ্ছে, ইনি নাকি আদৌ পাকিস্তানি নন। এমনকী ভুয়ো কাগজপত্রে তিনি নিজেকে পাক নাগরিক প্রমাণ করতে চাইছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার পাকিস্তানের জিও নিউজ-এর একটি প্রতিবেদনের বলা হয়েছে, ইসলামাবাদের কাছে দীর্ঘ দিন ধরে বসবাস করলেও আরসাদ এবং তাঁর পরিবার আসলে আফগানিস্তানের বাসিন্দা। পাকিস্তানের ন্যাশনাল ডেটাবেস এবং রেজিস্ট্রেশন অথরিটিস (এনএডিআরএ) জানিয়েছে, পাকিস্তানের ডিজিটাল ন্যাশনাল আইডেনটিটি কার্ডের জন্য আরশাদ যে নথিগুলি জমা দিয়েছিলেন সে গুলি ভুয়ো। সম্প্রতি পাসপোর্টের জন্য আবেদনপত্র জমা দিয়েছিলেন আরশাদ। আরসাদের পাসপোর্টের জন্য নথিগুলি পরীক্ষা করতে গিয়েই ভুয়ো নথির বিষয়টি নজরে আসে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
আরও পড়ুন: ব্রেন ডেড মা বেঁচে রইলেন ১২৩ দিন, জন্ম দিলেন যমজ সন্তানের
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, আরসাদ ও তাঁর পরিবার আদতে আফগানিস্তানের কান্দাহারের বাসিন্দা। সেখান থেকেই মোসাখেল উপজাতির মানুষদের সঙ্গে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে এসেছিল আরসাদের পরিবার। তবে এই খবরের সত্যতা স্বীকার করেননি আরসাদ।
সম্প্রতি একটি চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে আরশাদের দাবি, তাঁর বাবার জন্ম পঞ্জাবের সরগোধায়। ১৯৮৪ সালে সৌদি আরবে চলে গিয়েছিলেন তিনি। ১৩ বছর পর ফের ফিরে এসেছিলেন পাকিস্তানে। তাঁর দাবি, পাকিস্তানের মরদান থেকে পখতুনখওয়া প্রদেশে এসেছিল তাঁদের পরিবার।
যদিও এনএডিআরএ সূত্রে খবর, এই বক্তব্যের স্বপক্ষে কোনও বৈধ নথি দেখাতে পারেননি আরশাদ। তাঁর বাবা বাজ খান ও মা সরন বিবির কাছে ‘রিফিউজি কার্ড’ রয়েছে বলেও জানিয়েছে এনএডিআরএ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy