ইরাক থেকে সিরিয়া— রাজত্ব হারাচ্ছে ইসলামিক স্টেট। দখলে থাকা এলাকাগুলি থেকে নিয়ন্ত্রণ চলে যাওয়ায় এত দিন তেল বা জমির উপরে কর বসিয়ে যে টাকা আদায় হতো, তা আর পাচ্ছে না জঙ্গি সংগঠনটি। যার জেরে গত দু’বছরে প্রায় ৮০ শতাংশ আয় কমেছে আইএসের। একটি আন্তর্জাতিক তথ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছে, ২০১৫ সালে এই সংগঠনের মাসিক আয় ছিল ৮ কোটি ডলারের বেশি। যা এই বছর এসে ঠেকেছে দেড় কোটিতে!
কেন এই আর্থিক ধস?
দেশে-দেশে আস্তানা হারানোয় রোজগার পড়তির দিকে জঙ্গি গোষ্ঠীটির। যেমন, ইরাকে আইএসের শক্ত ঘাঁটি মসুলের অনেকটাই এখন আমেরিকা সমর্থিত জোটশক্তির দখলে। তার উপর, গত মাসের ৎশেষেই মসুলের আল নুরি মসজিদ দখল করে ইরাকের সরকারি বাহিনী। যার জেরে আরও চাপে আইএস। প্রসঙ্গত, তিন বছর আগে এই মসজিদ থেকে ‘খিলাফত’ প্রতিষ্ঠার কথা ঘোষণা করেছিলেন আইএস নেতা আবু বকর আল বাগদাদি। কিন্তু আইএস যে কোণঠাসা, সম্প্রতি এই মসজিদ উড়িয়ে তার প্রমাণই দিয়েছে জঙ্গিরা। একই হাল সিরিয়াতে। বাশার আল আসাদ সরকার ও মার্কিন সেনার লাগাতার বিমান হামলায় সে দেশেও কোণঠাসা হয়ে পড়েছে জঙ্গি দলটি। বিমান হানায় বহু তেল কারখানা ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় সেখান থেকেও আয়ের সুযোগ হারিয়েছে তারা।