নভেল করোনাভাইরাসের উৎস, কোথা থেকে তা ছড়িয়ে পড়েছে, এ নিয়ে সন্দিহান তদন্তকারীরা। প্রতীকী ছবি।
দুর্ঘটনাবশত চিনা গবেষণাগার থেকেই ছড়িয়ে পড়েছিল করোনাভাইরাস। আমেরিকার শক্তি মন্ত্রকের নতুন তদন্ত রিপোর্টে এই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছনো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
চিনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ নতুন নয়। আগেও বহু বার এ কথা বলা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ দল চিনের বিতর্কিত উহান ল্যাবে গিয়ে তদন্ত করে এসেছে। কিন্তু এখান থেকেই ভাইরাস ছড়িয়েছে কি না, তা নিয়ে বরাবরই দ্বিধাবিভক্ত বিশেষজ্ঞ মহল। আমেরিকান তদন্তকারীরাও এত দিন কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেননি। ২০২১ সালের নথিপত্রে স্পষ্ট উল্লেখ ছিল, নভেল করোনাভাইরাসের উৎস, কোথা থেকে তা ছড়িয়ে পড়েছে, এ নিয়ে সন্দিহান তদন্তকারীরা। কিন্তু নতুন রিপোর্টে আমেরিকা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে বলে জানা গিয়েছে।
আমেরিকান সংবাদমাধ্যম মারফত খবর, নয়া রিপোর্টটি পাঁচ পাতারও কম। আমেরিকান কংগ্রেসে এই তদন্ত নিয়ে কোনও অনুরোধ করা হয়নি। বরং এত দিন যা জানা গিয়েছিল, কংগ্রেসের আইনপ্রণেতারা নিজেদের উদ্যোগেই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছিলেন। তাঁদের মতে, অতিমারির উৎস এবং কী ভাবে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল, তা জানা দরকার। এ নিয়ে বাইডেন সরকারের কাছে আবেদনও জানিয়েছেন তাঁরা।
সদ্য প্রকাশিত রিপোর্টে শক্তি মন্ত্রক জানিয়েছে, কোনও দুর্ঘটনার জেরে ভাইরাসটি চিনা গবেষণাগার থেকে ছড়িয়ে পড়েছিল। রিপোর্টটিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে, কারণ এই রিপোর্টের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের যথেষ্ট বিশ্বাসযোগ্যতা রয়েছে। আমেরিকান মন্ত্রক ও ফেডেরাল বুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই), দু’পক্ষই আলাদা ভাবে জানিয়েছে— ইচ্ছাকৃত ভাবে নয়, কোনও দুর্ঘটনার জেরে ভাইরাসটি ল্যাবথেকে ছড়িয়েছিল।
যদিও এখনও আমেরিকার চারটি প্রতিষ্ঠান বিশ্বাস করে এই অতিমারি প্রাকৃতিক ভাবেই ঘটেছিল। দু’টি প্রতিষ্ঠান কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি। যার মধ্যে একটি হল, সেন্ট্রাল ইনটেলিজেন্স এজেন্সি(সিআইএ)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy