দেশের প্রধানমন্ত্রী জোর দিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দু’দেশের অংশীদারির উপরে। আর অতিথি প্রেসিডেন্ট দাওয়াই বাতলালেন, কী ভাবে সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে হবে। আর প্যালেস্টাইনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়া হবে কি না সেই প্রসঙ্গে দু’জনের মতপার্থক্য প্রকট হয়ে উঠল। এ ভাবেই পৃথক সুরে বাঁধা রইল ব্রিটেন সফররত আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়র স্টার্মারের প্রথম যৌথ সাংবাদিক বৈঠক।
দ্বিতীয় বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে এটা ছিল ট্রাম্পের প্রথম ব্রিটেন সফর। আজ সাংবাদিক বৈঠকে ট্রাম্প তাঁর বক্তব্য শুরু করেন রাজা তৃতীয় চার্লস ও রানি ক্যামিলাকে ‘অসাধারণ অতিথিপরায়ণতা’র জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে। এই সফরে দু’দেশের মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে একটি বড় মাপের চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে। ব্রিটেনকে ১৫ হাজার কোটি ডলার সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রাম্প। ব্রিটেনে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি পুরোটাই জুড়ে ছিল এই চুক্তি। তিনি বলেন, “আমেরিকা ও ব্রিটেন, এই দু’টি দেশের মধ্যে বরাবরই এক বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু আজ দুুপুরে আমরা যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তিটি সাক্ষর করলাম, তার পরে সেই সম্পর্ক এ বার এক অন্য মাত্রা পেল।”
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বক্তব্য যদিও বাঁধা ছিল অন্য সুরে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ‘এত দিন ধরে চলার জন্য’ হতাশা প্রকাশ করে ট্রাম্প বলেন, “রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যে ভাবে বিষয়টি চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তাতে আমি সত্যিই হতাশ।” অভিবাসন সমস্যাও ট্রাম্পের বক্তব্য থেকে বাদ যায়নি। তাঁর পরামর্শ, “সীমান্তে সেনা নামিয়ে ছোট নৌকায় চেপে এ দেশে আসা আপনাদের বন্ধ করতে হবে।”
ট্রাম্পকে এক সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করেছিলেন, লেবার প্রধানমন্ত্রী স্টার্মার তো প্যালেস্টাইনকে পৃথক ও স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছেন। এ বিষয়ে আমেরিকার কী মত? ট্রাম্পের জবাব, “আমরা এ বিষয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন মত পোষণ করি। এখানে শুধু এ-টুকুবলাই যথেষ্ট।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)