Advertisement
E-Paper

বাসন মাজতেন, এখন তিনিই পৃথিবীর অন্যতম সেরা রেস্তোরাঁর মালিক

নিষ্ঠা, কর্তব্য আর পরিশ্রম অটুট থাকলে যে কোনও কিছুই অসম্ভব নয় তা প্রমাণ করলেন আলি সনকো। বিশ্বের অন্যতম সেরা এই রেস্তোরাঁতেই এক দিন মামুলি এক কর্মচারী হয়ে ঢুকেছিলেন তিনি।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০১৭ ১৪:১৫
সদা হাস্যমুখে আলি সনকো

সদা হাস্যমুখে আলি সনকো

নিষ্ঠা, কর্তব্য আর পরিশ্রম অটুট থাকলে যে কোনও কিছুই অসম্ভব নয় তা প্রমাণ করলেন আলি সনকো।

বিশ্বের অন্যতম সেরা এই রেস্তোরাঁতেই এক দিন মামুলি এক কর্মচারী হয়ে ঢুকেছিলেন তিনি। অতিথিদের এঁটো বাসন মাজার দায়িত্ব পড়েছিল তাঁর উপর। হাসি মুখে মেনে নিয়েছিলেন আলি। গত ১৪ বছর ধরে ভালবেসে করে গিয়েছেন নিজের কাজটা। আজ তিনিই এই রেস্তোরাঁর মালিক। অবশ্য যৌথ ভাবে।

প্রথম থেকেই মূলধন ছিল মুখের হাসি। কাজ যেমনই হোক, প্রথম থেকেই ভালবেসেছিলেন নিজের কাজকে। আজ তাই ডেনমার্কের বিখ্যাত নোমা রেস্তোরাঁয় বদলে গিয়েছে তাঁর আসল নামটাই। আলি সানকো’র পরিবর্তে এখন তিনি নোমা’র ‘হার্ট অ্যান্ড সোল’। রেস্তোরাঁর হৃদয় আর আত্মা, দু’টোই যেন বন্ধক রাখা আছে আলির কাছে।


এই ছবিটিই ইন্সটাগ্রামে শেয়ার করেছেন রেনে রেডজেপি।

আসল বাড়ি পশ্চিম আফ্রিকার গ্যাম্বিয়ায়। ভাগ্যান্বেষণ করতে করতে অভিবাসী হিসাবেই এক দিন ডেনমার্কে এসেছিলেন আলি। সেটা ২০০৩ সাল। তখন সদ্য খুলেছে নোমা। কাজ নিলেন রেস্তোরাঁয়। বাসন মাজার কাজ। তাতে কী? নতুন উদ্যোমে শুরু করলেন কর্মজীবন। ১৪ বছর পার। আজ সেই রেস্তোরাঁরই যৌথ মালিকানা হাতে পেতে চলেছেন আলি।

আরও পড়ুন: ৬৯তম সন্তানের জন্ম দিয়ে মারা গেলেন এই মহিলা

তবে বেশ কিছু নতুনত্ব আনার চেষ্টা করা হচ্ছে নামো’র মধ্যে। স্থানান্তরিতও করার চিন্তা ভাবনাও চলছে। তাই এই মুহূর্তে কিছু দিনের জন্য বন্ধ রয়েছে নামো। হোটেল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, হয়তো ডিসেম্বরের মধ্যে আবার চালু হবে নামো।

এত কিছুর পর কী বলছেন ৬২ বছরের আলি সনকো? এক গাল হেসে নামো’র ‘হার্ট অ্যান্ড সোল’ বললেন, ‘‘এখানকার সব কর্মচারীই আমায় খুব ভালবাসে।’’

Ali Sonko Denmark Rene Redzepi
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy