ফাইল চিত্র।
পলাতক ব্যবসায়ী মেহুল চোক্সীকে ইতিমধ্যে ‘অবৈধ অভিবাসী’ হিসেবে ঘোষণা করেছে ডমিনিকার সরকার। ডমিনিকার জেলেই বন্দি তিনি। আজ তাঁর জামিন সংক্রান্ত মামলার শুনানি হওয়ার কথা। মেহুলের পরিবার এবং আইনজীবীরা অবশ্য প্রথম থেকেই দাবি করছেন, পুরোটাই ষড়যন্ত্র। মেহুলকে অপহরণ করে ডমিনিকায় আনা হয়েছে। এই ঘটনায় তাঁর ‘বান্ধবী’ বারবারা জ্যারাবিকা এবং তিন ভারতীয় বংশোদ্ভুত জড়িত বলে এ বার দাবি করলেন আইনজীবীরা।
তাঁদের দাবি, অ্যান্টিগার নাগরিকত্ব ও নিরাপত্তার ঘেরাটোপ থেকে তাঁকে বার করে এনে গ্রেফতার করাই ছিল অপহরণকারীদের উদ্দেশ্য। এ বিষয়ের তাঁদের সন্দেহের তির ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার দিকেই। অপহরণের পক্ষে বেশ কিছু তথ্য-প্রমাণ প্রকাশ্যে এনেছে তাঁর আইনজীবী দল। একই সঙ্গে তাঁদের দাবি, অবৈধ ভাবে প্রবেশের যে অভিযোগে মেহুলকে গ্রেফতার করেছে ডমিনিকা, তা হাস্যকর। কারণ অ্যান্টিগার নাগরিক হিসেবে ক্যারিবীয় দ্বীপগুলিতে যাওয়ার অধিকার রয়েছে মেহুলের। পুরো বিষয়টিকে ‘জলদস্যু কূটনীতি’ বলে অভিহিত করেছেন মেহুলের আইনজীবী দলের প্রধান মাইকেল পোলক।
২৩ মে অ্যান্টিগা ও বারবুডা থেকে উধাও হন মেহুল। দিন দু’য়েক পরে ডমিনিকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পোলকের দাবি, বারবারা জ্যারাবিকা-সহ চার জনের একটি দল মেহুলকে অপহরণ করে। ওই তরুণী ছাড়া সকলেই ভারতীয় বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ নাগরিক। পোলকের দাবি, গুরমিত সিংহ, গুরজিত ভান্ডাল, বারবারা এবং চতুর্থ সঙ্গী (যার নাম জানা যায়নি) এপ্রিল ও মে মাসে দু’বার লন্ডন থেকে অ্যান্টিগায় আসেন। মেহুল গ্রেফতার হওয়ার পর ২৮ মে বারবারা, গুরমিত আর গুরজিত ডমিনিকা ছাড়েন। পোলকের দাবি, ডমিনিকায় অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার পথে মেহুলকে জোর করে কিছু কাগজে সই করানো হয়। সেগুলি ভারতে প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy