পরিত্যক্ত: অতলান্তিকের তলায় জাহাজের ধ্বংসাবশেষ। ছবি: রয়টার্স
শতবর্ষে বলা হয়েছিল, আর নয়। লোকজনের যাতায়াত লেগে থাকলে সমুদ্রের তলাতেও টাইটানিক আর বাঁচবে না।
কিন্তু নস্টালজিয়া আর অ্যাডভেঞ্চারের অদম্য আকর্ষণ আবারও জিতল। তার চেয়েও বেশি করে জিতল বাণিজ্যের হাতছানি। ফলে টাইটানিক ভ্রমণের প্যাকেজ ট্যুর আবার শুরু হচ্ছে। ২০১২-য় ঘোষণা করা হয়েছিল, সাধারণ মানুষকে আর সমুদ্রগর্ভের ওই ধ্বংসস্তূপে নিয়ে যাওয়া হবে না। সেই সিদ্ধান্ত বদলাচ্ছে। ২০১৮-র মে মাসের বুকিং শেষ। প্রথম দফায় ন’জনকে নিয়ে যাচ্ছে লন্ডনের একটি ভ্রমণ সংস্থা। কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ড থেকে তাদের অতলান্তিক যাত্রা শুরু হবে।
আট দিনের সফর। তিন বার তিন ঘণ্টা করে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষে পা রাখার সুযোগ। লাগবে মাথাপিছু ১ লক্ষ পাঁচ হাজার ডলারের মতো।
৩২ বছর আগে রবার্ট ব্যালার্ডের নেতৃত্বে একটি দল টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে বার করার পর থেকেই এই কিংবদন্তি প্রমোদতরীকে নিয়ে নতুন করে আগ্রহ বাড়ে। তার পরে পর্দায় লিওনার্দো দিক্যাপ্রিও আর কেট উইনস্লেটের প্রেমকাহিনি দেখার পরে টাইটানিক রাতারাতি উন্মাদনায় পরিণত হয়। তারই জেরে ১৯৯৮ থেকে শুরু হয় টাইটানিক ভ্রমণের ব্যবস্থা। কিন্তু টাইটানিককে বাঁচানোর খাতিরেই তা বন্ধ করা হবে বলে স্থির হয়েছিল। অতিরিক্ত আনাগোনায় জাহাজটি ক্ষয়ে যাচ্ছিল দ্রুত। তা হলে আবার নতুন করে সেখানে প্যাকেজ ট্যুর কেন? সম্ভাব্য উত্তর একটাই, বাজারের চাহিদা। আয়োজক ভ্রমণ সংস্থাটি তাই ফলাও করে তাদের ওয়েবসাইটে লিখেছে, ‘‘যত লোক মহাকাশে গিয়েছে বা এভারেস্টে চড়েছে, তার চেয়ে ঢের কম লোক টাইটানিক দেখেছে!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy