ফাইল চিত্র
এ বছরের শেষ পর্যন্ত আর কোনও রকম এইচ ১ বি, এইচ ৪, এল ১ এবং জে ১ ভিসা দেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিল ট্রাম্প প্রশাসন। ভিসায় কড়াকড়ি সংক্রান্ত এই জাতীয় পদক্ষেপ যে আসতে চলেছে, সে কথা গত শনিবারই একটি চ্যানেলকে জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সোমবারই বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল।
ভারতীয় সময় সোমবার গভীর রাতে, হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের জানানো হয়, প্রেসিডেন্ট প্রশাসনিক ডিক্রি-বলে ভিসায় রাশ টানার সিদ্ধান্ত সাময়িক ভাবে বলবৎ করছেন। এ বছরের শেষ পর্যন্ত আর কোনও ওয়র্ক ভিসা দেওয়া হবে না। এর ফলে মার্কিনদের জন্য ৫ লক্ষ ২৫ হাজার কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।
করোনা অতিমারিতে আমেরিকায় মৃত্যুমিছিল শুরু হওয়ার জেরে বিভিন্ন প্রদেশে লকডাউন জারি করতে বাধ্য হয়েছিল মার্কিন প্রশাসন। যার ফলে গোটা আমেরিকা আর্থিক মন্দার কবলে পড়ে। চাকরি খুইয়েছেন ৪০ লক্ষেরও বেশি মানুষ। আর তখনই দেশের নাগরিকদের চাকরির ব্যবস্থা করতে বেশ কয়েকটি ভিসা নীতিতে কড়াকড়ির ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আপাতত ট্রাম্পের নিশানায় রয়েছে এইচ-১ বি, এইচ ৪, এল-১ এবং জে ১— এই চার ধরনের ভিসা। এ ছাড়া ভবিষ্যতে এইচ ১ বি-র ক্ষেত্রে লটারির বদলে যোগ্যতামানে জোর দেওা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়াটা প্রয়োজন। বড় বড় ব্যবসায় এমন কিছু মানুষকে প্রয়োজন হয়, যাঁরা অনেক বছর ধরে এ দেশে আসছেন।’’
এইচ-১ বি ভিসায় যাঁরা বর্তমানে আমেরিকায় রয়েছেন, নতুন নীতিতে তাঁদের উপরে কোনও আঁচ পড়বে না বলেই মনে হয়। মার্কিন অভিবাসন দফতরের পরিসংখ্যানই জানাচ্ছে, ২০১৯ অর্থবর্ষে ১ লক্ষ ৩৩ হাজার বিদেশিকে এইচ-১ বি ভিসার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। যাঁদের একটা বড় অংশ চিন ও ভারতের দক্ষ তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী। অতিমারির শুরুতেই দেশে ঢোকার জন্য যাবতীয় অভিবাসন নীতি বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেন ট্রাম্প। যাতে কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় মার্কিন চেম্বার অব কমার্স-সহ বিভিন্ন শিল্প গোষ্ঠী। প্রেসিডেন্টকে চিঠি লিখে তারা জানিয়েছিল, সমস্ত কাজের ভিসা বন্ধ রাখলে মার্কিন অর্থনীতিতে আরও গভীর প্রভাব পড়বে।
আরও পড়ুন: এইচ-১বি ভিসায় কি ট্রাম্পের বিধিনিষেধ? অনিশ্চিত প্রায় আড়াই লক্ষের ভবিষ্যৎ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy