গাজ়া জুড়ে ইজ়রায়েলি হামলা চলছেই। সেই আবহে জেরুজ়ালেমে প্যালেস্টাইনিদের সাহায্যের জন্য তৈরি রাষ্ট্রপুঞ্জের দফতরে ঢুকে বিক্ষোভ দেখালেন ই়জ়রায়েলিরা। তার নেতৃত্ব দিলেন ইজ়রায়েলের আইনসভার এক সদস্যও।
প্যালেস্টাইনিদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার জন্য পূর্ব জেরুজ়ালেমে রাষ্ট্রপুঞ্জের একটি দফতর রয়েছে। সেটির নাম ‘ইউনাইটেড নেশনস রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি’ (ইউএনআরডব্লুএ)। সেই দফতরে ইজ়রায়েলি বিক্ষোভকারীরা জোরজবরদস্তি ঢুকে পড়েছেন বলে অভিযোগ। বিক্ষোভকারীদের প্রশ্ন, কেন প্যালেস্টাইনিদের সাহায্য করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, রবিবারই গাজ়ায় ইজ়রায়েলি হামলায় নতুন করে ২৩ জন প্যালেস্টাইনির মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছিল স্থানীয় স্বাস্থ্য দফতর। মৃতদের মধ্যে ছিলেন সাংবাদিক এবং উদ্ধারকারী দলের এক ঊর্ধ্বতন কর্তাও। রবিবার গাজ়ার দক্ষিণে খান ইউনিস, উত্তরে জাবালিয়া এবং মধ্য গাজ়ার নুসেইরাতে হামলা চালায় ইজ়রায়েলি সেনা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, জাবালিয়াতে বিমান হামলায় মৃত্যু হয় স্থানীয় সাংবাদিক হাসান মাজদি আবুর। গাজ়ার স্থানীয় স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গাজ়া শহরের দারাজ এলাকার এক স্কুলে অস্থায়ী আশ্রয়শিবির তৈরি করা হয়েছিল। রবিবার গভীর রাতে সেখানে হামলা চালায় ইজ়রায়েল। সে সময় ঘুমিয়ে ছিলেন সকলে। মৃত্যু হয় ৩১ জনের। শুধু তা-ই নয়, ওই হামলায় ৫৫ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের জরুরি পরিষেবার প্রধান ফাহমি আওয়াদ। তিনি জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে এক বাবা এবং তাঁর পাঁচ সন্তানও রয়েছেন। তবে হামলার সপক্ষে ইজ়রায়েলি সেনার যুক্তি, ওই স্কুল থেকে নাশকতার ছক কষা হচ্ছিল। তাই গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে স্কুল লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়।