চিনকে অসামরিক পরমাণু প্রযুক্তি রফতানি নিয়ে কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করল মার্কিন প্রশাসন। ওয়াশিংটনের দাবি, বেজিং গোপনে ওই প্রযুক্তি সামরিক ক্ষেত্রে ব্যবহার করে অত্যাধুনিক ডুবোজাহাজ, এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ার, ভাসমান পরমাণু চুল্লি বানাচ্ছে।
জেট ইঞ্জিনের অন্যতম বড় সরবরাহকারী ‘জিই এভিয়েশন’-এর থেকে গোপন তথ্য পাচারে অভিযুক্ত চিনা গোয়েন্দা কর্তাকে গ্রেফতার করার পরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়াশিংটন। তা ছাড়া, দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন সূত্রে তাদের কাছে খবর, মার্কিন সংস্থা থেকে পরমাণু গবেষণা সংক্রান্ত তথ্য চুরি করছে বেজিংয়ের কিছু সরকারি সংস্থা। যদিও ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের দাবির সপক্ষে এই মুহূর্তে তেমন জোরদার প্রমাণ নেই।
চিনা পণ্যসামগ্রী আমদানি নিয়ে আগেই কড়াক়ড়ি শুরু করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। আমেরিকার নয়া পদক্ষেপে আরও চাপ বাড়ল চিনের উপরে। মার্কিন শক্তি দফতরের সচিব রিক পেরি বলেন, ‘‘দেশের নিরাপত্তা নিয়ে ছিনিমিনি খেলা যায় না। আমেরিকা-চিন যৌথ সহযোগিতায় অসামরিক পরমাণু গবেষণা বাদ দিয়ে চিন যে ধরনের বিতর্কিত কাজকর্ম করছে, তা মেনে নেওয়া অসম্ভব।’’ মার্কিন প্রশাসনের কর্তারা জানাচ্ছেন, দক্ষিণ চিন সমুদ্রে বেজিং এক ধরনের ভাসমান পরমাণু চুল্লি তৈরির চেষ্টা করছে। সামরিক ঘাঁটি তৈরির জন্যই চিনের এই কৌশল। তবে শুধু চিনের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি-ই নয়, ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, এ বার থেকে যে কোনও বিদেশি লগ্নির ক্ষেত্রে পুনর্মূল্যায়ন প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।