গাজ়ার ‘বিতর্কিত’ ত্রাণবিলি গোষ্ঠী ‘গাজ়া হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন’ বা জিএইচএফ-কে আরও আর্থিক সাহায্য করল আমেরিকা। ইজ়রায়েল-সমর্থিত ওই গোষ্ঠীকে তিন কোটি ডলার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র টমি পিগট এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘জিএইচএফ-কে এই গুরুত্বপূর্ণ কাজে সহায়তা করার জন্য অন্য দেশগুলিকে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
গাজ়ায় ইজ়রায়েলি সেনার হানা অব্যাহত। প্রায় প্রতি দিনই গাজ়া ভূখণ্ডে হামলা চালাচ্ছে তারা। দীর্ঘ দিন অবরুদ্ধ থাকার কারণে গাজ়াবাসী এখন অধিকাংশই কর্মহীন। দু’বেলা দু’মুঠো খাবার জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হয় অনেককেই। তাঁদের জন্যই ত্রাণশিবিরের ব্যবস্থা করেছে জিএইচএফ। কিন্তু গাজ়ায় যে ত্রাণশিবির চলছে, তা-ও মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ রাষ্ট্রপুঞ্জের। ত্রাণশিবিরে খাবার আনতে-যেতেও আতঙ্কে ভুগছেন গাজ়াবাসী! যখন-তখন সেখানেও বোমাবর্ষণ, ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চলছে। শুক্রবারও গাজ়ায় গোলাবর্ষণ চলেছে। নতুন করে ৭২ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।
আরও পড়ুন:
ইজ়রায়েলের অবরোধের কারণে এক সময়ে গাজ়ায় ত্রাণ এবং মানবিক সাহায্য পৌঁছোনো প্রায় বন্ধই হয়ে গিয়েছিল। তবে বিভিন্ন দেশের কড়া নিন্দা এবং সমালোচনার পর সুর নরম করে ইজ়রায়েল। কড়াকড়ি শিথিল করে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার। গাজ়ায় রাষ্ট্রপুঞ্জের ত্রাণ পৌঁছোয়। তবে বেশিরভাগ ত্রাণশিবিরের ব্যবস্থা করে জিএইচএফ। অভিযোগ, ওই সংস্থার শিবিরগুলিও দিনের পর দিন বন্ধ থাকে। সংস্কারের কাজ চলছে বলে দাবি করে তা বন্ধ করে রাখা হয়। ইজ়রায়েলি বাহিনী হুঁশিয়ারি দেয়, ত্রাণশিবিরের দিকে এক পা এগোলে ফল ভাল হবে না। ফলে প্রাণভয়ে সে পথে হাঁটেনও না গাজ়ার বহু মানুষ। আর যাঁরা যান, তাঁদেরও হামলার শিকার হতে হয় বলে অভিযোগ।