Advertisement
E-Paper

আমেরিকায় উষ্ণ অভ্যর্থনা চিনফিংকে, ট্রাম্পের নিজের রিসর্টে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক

বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতি পরস্পরের মুখোমুখি শীর্ষ বৈঠকে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নিতে ফ্লোরিডায় চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। মার্কিন বিদেশ সচিব বিমানবন্দরে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানালেন সস্ত্রীক চিনফিংকে। ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত রিসর্টের অতিথি হলেন চিনফিং।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০১৭ ১৪:৫১
মার-এ-লাগো রিসর্টে নৈশভোজের আসরে চিনা ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ছবি: এপি।

মার-এ-লাগো রিসর্টে নৈশভোজের আসরে চিনা ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ছবি: এপি।

বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতি পরস্পরের মুখোমুখি শীর্ষ বৈঠকে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নিতে ফ্লোরিডায় চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। মার্কিন বিদেশ সচিব বিমানবন্দরে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানালেন সস্ত্রীক চিনফিংকে। ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত রিসর্টের অতিথি হলেন চিনফিং। উচ্ছ্বসিত ট্রাম্প জানালেন, চিনের সঙ্গে আমেরিকার খুব ভাল বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছে। তবে বাণিজ্যিক বিষয়ে এবং উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি রোখার প্রশ্নে চিনের অবস্থান যে আমেরিকা মোটেই পছন্দ করছে না, তাও জানিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প।

বৃহস্পতিবার শি চিনফিং এবং তাঁর স্ত্রী পেং লিউয়ানকে স্বাগত জানাতে ওয়েস্ট পাম বিচ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন বিদেশ সচিব রেক্স টিলারসন। এক ঘণ্টা পরে সস্ত্রীক ট্রাম্প পৌঁছন ওয়েস্ট পাম বিচে। তার পর ট্রাম্পের ব্যক্তিগত রিসর্ট ‘মার-এ-লাগো’তে শুরু হয়ে দ্বিপাক্ষিক কর্মসূচি। ট্রাম্পের রিসর্টে প্রথমে চা-চক্র এবং তার পর নৈশভোজের আসরের মধ্যে দিয়ে উষ্ণতার সঙ্গেই শুরু হয়েছে আমেরিকা-চিন শিখর বৈঠক। নৈশভোজের আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেই সকলের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দেন প্রেসিডেন্ট চিনফিং এবং তাঁর স্ত্রীয়ের। ট্রাম্প বলেন, ‘‘চিনের প্রেসিডেন্ট এবং তাঁর অসামান্য প্রতিভাধর স্ত্রীকে আমাদের মধ্যে পাওয়া অত্যন্ত সম্মানের বিষয়।’’ চিনফিং-এর স্ত্রীয়ের পরিচয় দিয়ে ট্রাম্প জানান, তিনি একজন বিরাট মাপের সঙ্গীতশিল্পী এবং চিনের একজন প্রখ্যাত মানুষ।

মার-এ-লাগো রিসর্টে সস্ত্রীক চিনা প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানাচ্ছেন সস্ত্রীক ট্রাম্প। ছবি: এপি।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে প্রেসিডেন্ট চিনফিং-এর ইতিমধ্যেই সবিস্তার আলোচনা হয়েছে। তবে আলোচনা যে এখনও ফলপ্রসূ হয়নি, তাও ট্রাম্প বুঝিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত আমরা কিছুই পাইনি। আক্ষরিক অর্থেই কিছুই পাইনি। কিন্তু আমাদের মধ্যে একটা বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছে। আমি সেটা দেখতে পাচ্ছি। আমার মনে হয়, দীর্ঘ মেয়াদে আমরা একটা খুব ভাল সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারব এবং আমি ভীষণ ভাবেই সে দিকে তাকিয়ে রয়েছি।’’

আরও পড়ুন: ট্রাম্পের নির্দেশে ৫৯টি টোমাহক ক্ষেপণাস্ত্র গুঁড়িয়ে দিল সিরিয়ার বিমানঘাঁটি

উষ্ণতার সঙ্গে প্রেসিডেন্ট চিনফিং ও তাঁর স্ত্রীকে স্বাগত জানালেও, চিনের প্রতি আমেরিকার অসন্তোষের ক্ষেত্রগুলিকে কিন্তু গোপন করার একটুও চেষ্টা করেননি ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ‘‘বহু বহু বছর ধরে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আমরা ভাল ব্যবহার পাইনি। যে পথে তার মোকাবিলা করা উচিত ছিল, কোনও প্রেসিডেন্টই সে পথ নেননি। এবং উত্তর কোরিয়াকে নিয়েও আমাদের খুব বড় সমস্যা রয়েছে। আমরা দেখতে চাই, কী হয়।’’ অর্থাৎ আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক এবং উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি প্রসঙ্গে চিনা প্রেসিডেন্ট ঠিক কী অবস্থান নেন, তা দেখার জন্যই যে তিনি অপেক্ষা করছেন, সে কথা ট্রাম্প বুঝিয়ে দিয়েছেন।

চিনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক সফল হোক বা না হোক, উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে যে আমেরিকা পদক্ষেপ করবেই, তা ট্রাম্প স্পষ্ট করে জানিয়েছেন। আমেরিকা কি চায় যে চিন উত্তর কোরিয়ার উপর চাপ দিক? প্রশ্ন ছিল সংবাদমাধ্যমের। ট্রাম্প ফের বলেন, ‘‘আমরা দেখছি কী হয়।’’ তবে তিনি যে প্রেসিডেন্ট চিনফিং-এর উপর চাপ দেবেন, সে কথা ট্রাম্প স্পষ্ট করে দিয়েছেন। চিনা প্রেসিডেন্টের সামনে তিনি নিজের যুক্তি তুলে ধরবেন এবং তাতে কাজও হবে— এমনই মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার সঙ্গেই বলেছেন, ‘‘চিন যদি উত্তর কোরিয়া সংক্রান্ত সমস্যা সমাধান করতে না চায়, আমরাই করব।’’

USA China Donald Trump Xi Jinping
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy