Advertisement
E-Paper

মার্কিন মুসলিমদের আত্মীয় কে? ঠিক করে দেবে ট্রাম্প প্রশাসন!

শরণার্থীদের উপরেও চাপ তৈরি করবে নয়া নির্দেশ। প্রশাসনের বক্তব্য, শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে সাহায্য করে এমন কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তাঁদের সঙ্গে রক্তের সম্পর্ক দেখিয়ে শরণার্থীদের এ দেশে প্রবেশের ব্যবস্থা করতে পারে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০১৭ ০৩:৩৯
ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা মেনে নয়া ‘ফরমান’ জারি করেছে মার্কিন বিদেশ দফতর।ছবি: এএফপি।

ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা মেনে নয়া ‘ফরমান’ জারি করেছে মার্কিন বিদেশ দফতর।ছবি: এএফপি।

সৎভাই সৎবোন চলবে। কিন্তু ভাইপো ভাইঝি নয়। তেমনই ছেলে-ছেলের বৌ স্বাগত কিন্তু শালা বা ননদ নয়। শ্বশুর-শাশুড়ি এবং নিজের বাবা-মা পরিবারের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ, তাঁরা তো আসবেনই। কিন্তু দাদু-ঠাকুরমা বা দাদু-দিদা নয়! মোদ্দা কথা, লিবিয়া-সোমালিয়া-সুদান-সিরিয়া এবং ইয়েমেন— এই ছয় মুসলিম দেশ থেকে আমেরিকায় আসতে হলে এ বার থেকে সেখানকার নাগরিকদের ভিসা আবেদনে পরিবারের ‘কাছের সম্পর্কগুলো’ই গুরুত্ব পাবে।

ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা মেনে বুধবার রাতে এই নয়া ‘ফরমান’ জারি করেছে মার্কিন বিদেশ দফতর। গত সোমবার সুপ্রিম কোর্ট ওই নিষেধাজ্ঞায় আংশিক অনুমতি দেওয়ার পরেই এই নয়া নির্দেশিকা পৌঁছেছে বিভিন্ন মার্কিন কনস্যুলেট ও দূতাবাসে। সুপ্রিম কোর্টে ওই মামলার শুনানি ফের অক্টোবরে। নির্দেশে রয়েছে, ‘কাছের সম্পর্ক’ বলতে বাবা-মা (শ্বশুর-শাশুড়ি), স্বামী-স্ত্রী, ছেলেমেয়ে, জামাই, পুত্রবধূ এবং ভাইবোন (সৎভাই বোনও)। নির্দেশিকা বলেছে ‘কাছের সম্পর্কে’ দাদু-ঠাকুরমা-দাদু-দিদা, নাতিনাতনি, কাকা-কাকিমা, ভাইপো-ভাইঝি, সম্পর্কিত ভাইবোন, প্রেমিক-প্রেমিকা পড়েন না। নির্দেশে স্পষ্ট, আমেরিকা নিবাসী স্বজনের সঙ্গে মুসলিম দেশের ভিসা আবেদনকারীর ‘রক্তের সম্পর্ক’ থাকলে তাঁকে আটকানো হবে না।

কিন্তু কাছের সম্পর্ক ঠিক করার এই প্রক্রিয়া নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। আমেরিকা নিবাসী কোনও মুসলিমের কাছে কারা দূর সম্পর্কের আত্মীয় আর কারা কাছের, সেটা কী ভাবে মার্কিন প্রশাসন ঠিক করল? তার কোনও ব্যাখ্যা অবশ্য নেই নির্দেশিকায়।

শরণার্থীদের উপরেও চাপ তৈরি করবে নয়া নির্দেশ। প্রশাসনের বক্তব্য, শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে সাহায্য করে এমন কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তাঁদের সঙ্গে রক্তের সম্পর্ক দেখিয়ে শরণার্থীদের এ দেশে প্রবেশের ব্যবস্থা করতে পারে। কিন্তু সে পথে ভিসা আবেদনে সায় দিতে নিষেধ করা হয়েছে কনসুলার অফিসারদের। তবে সংশ্লিষ্ট ছ’দেশের কোনও নাগরিক মার্কিন সংস্থায় কাজের সুযোগ পেলে বা আমেরিকার কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দেওয়ার আমন্ত্রণ পেলে, তাঁর ক্ষেত্রে এই নিষেধ বলবৎ হবে না।

‘ডাইভারসিটি ভিসা’-তেও কিছু বদল আনা হয়েছে। আমেরিকায় যে সব দেশ বেশি অভিবাসী পাঠায় না, তাদের নাগরিকদের এই সুযোগ দেওয়া হয়। ২০১৫ সালে ছয় নিষিদ্ধ মুসলিম দেশ থেকে ১০,৫০০ নাগরিককে ডাইভারসিটি ভিসা লটারির জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন ওই সব দেশের নাগরিক সে লটারির সুযোগ পাবেন না।

Muslim nations Visa US Donald Trump ডোনাল্ড ট্রাম্প
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy