আল কায়দা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে খুন করার ছকে পাকিস্তান আমেরিকাকে পুরোপুরি সাহায্য করেছিল বলে দাবি করলেন মার্কিন সাংবাদিক সেমুর হার্শ।
তাঁর দাবি, পাক সেনা ও গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের সাহায্যেই অ্যাবটাবাদে ওসামার ডেরায় হামলা চালায় মার্কিন সেনা। ওয়াশিংটনকে প্রথম ওসামার খবর দিয়েছিলেন এক প্রাক্তন পাক গোয়েন্দা অফিসার।
২০১১ সালের ২ মে অ্যাবটাবাদের ডেরায় মার্কিন কম্যান্ডো হানায় নিহত হন ওসামা। পাকিস্তানকে না জানিয়েই মার্কিন সেনা হামলা চালিয়েছিল বলে আগাগোড়াই দাবি করেছে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসন। বিষয়টি নিয়ে বড় অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল পাকিস্তানকে।
হার্শের অবশ্য দাবি, পাকিস্তানকে না জানিয়ে অভিযানের কাহিনি রূপকথা মাত্র। ২ কোটি ৫০ লক্ষ ডলার পুরস্কারের বিনিময়ে এক প্রাক্তন পাক গোয়েন্দা অফিসার মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ-কে ওসামার ডেরার খবর দেন। উপগ্রহের মারফত নজরদারি চালিয়ে ওসামার উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পরে পাক সেনা ও আইএসআইকে খবর দেয় মার্কিন সেনা। তাদেরই ঘাঁটিতে ওসামা হত্যার বিষয়টি নিয়ে মহড়াও হয়।
হার্শের দাবি, আইএসআইয়ের হাতে বন্দি হিসেবে থাকতেন ওসামা। সৌদি আরবও আল কায়দা নেতাকে বন্দি রাখারই পরামর্শ দিয়েছিল। ওয়াশিংটন তাঁর খোঁজ পাওয়ার পরে আইএসআই আর্জি জানায়, ওসামাকে খুন করা হোক। ঘটনার এক সপ্তাহ পরে বিষয়টি ঘোষণা করুক ওয়াশিংটন।
হার্শের দাবি, ওবামা ভোটে জেতার জন্য পাকিস্তানের সঙ্গে হওয়া সমঝোতা পুরোপুরি মানেননি। তৎকালীন প্রতিরক্ষা সচিব রবার্ট গেটস এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছিলেন।
শাকিল আফ্রিদি নামে এক পাক চিকিৎসকের মাধ্যমে সিআইএ ওসামার নাগাল পায় বলে এত দিন প্রচার করেছে ওয়াশিংটন। হার্শের মতে, আসল গল্প লুকোতেই আফ্রিদিকে ব্যবহার করা হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy