হামাসের হাত থেকে সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ইজ়রায়েলি পণবন্দিদের শারীরিক অবস্থা দেখে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হলোকস্ট (নাৎসি জার্মানিতে ইহুদি-গণহত্যা) পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা করে তিনি জানালেন, গাজ়ার সংঘাত নিয়ে তাঁর ক্রমশ ধৈর্যচ্যুতি ঘটছে। হামাসের উপর থেকে বিশ্বাসও উঠছে। পণবন্দিদের যারা যথাযথ ভাবে খেতে দেয় না, তাদের উপর বিশ্বাস রাখা দায়।
যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুসারে গত শনিবারই আরও তিন জন ইজ়রায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেয় হামাস। এই তিন জনের নাম এল শরাবি, ওর লেভি ও ওহাদ বেন এমি। তাঁদের দেখার পরেই রবিবার ট্রাম্পের ক্ষুব্ধ মন্তব্য, “ওই তিন জনের জরাজীর্ণ দশা দেখে মনে হচ্ছে তাঁরা দীর্ঘদিন না খেয়ে রয়েছেন। হাড়গুলো গোনা যাচ্ছে শরীরের।” তার পরেই ধৈর্যচ্যুতির কথা বলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন, দ্রুত গাজ়া ভূখণ্ডের দখল নেবে আমেরিকা।
প্রত্যুত্তরে ক্ষোভে উত্তাল সমাজমাধ্যম। ইজ়রায়েলের হাতে বন্দি প্যালেস্টাইনিদের কঙ্কালসার ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সেখানে। ছড়িয়ে পড়েছে গাজ়া ভূখণ্ডের শিশুদের ছবিও। মানবাধিকার কর্মীদের দাবি, হামাসকে দোষারোপ করলে চলবে না। ইজ়রায়েলও একই কাজ করে চলেছে।
এ দিকে, ট্রাম্পের বার বার গাজ়া ভূখণ্ড দখল নেওয়ার মন্তব্যে যুদ্ধবিরতির মধ্যেই দেখা যাচ্ছে অনিশ্চয়তার মেঘ। অনেকের দাবি, পশ্চিম এশিয়া জুড়ে ব্যবসার জাল বিস্তার করতে চাইছেন ট্রাম্প। জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজ় ট্রাম্পের এই মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন।
সংবাদ সংস্থা
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)