প্রাতঃরাশে বহু বাড়িতে হয় ডিম টোস্ট না হয় রুটি-তরকারি খাওয়ার চল রয়েছে। মাঝেমধ্যে লুচি-আলুর দম বা ছোলার ডাল হয় বটে, তবে সে তো ছুটির দিনে। তা ছাড়া, লুচি সুস্বাদু হলেও অনেকেরই এতে অম্বল হয়। বদলে শীতের সকালে থাক এমন কিছু যা বানানো সহজ আবার স্বাদ ও স্বাস্থ্যের খেয়ালও রাখবে। তালিকায় কী কী রাখতে পারেন?
বান দোসা
আরও পড়ুন:
দোসা বলতে একেবারে পাতলা মুচমুচে যে খাবারটি সকলে বোঝেন, বান দোসা তেমনটা নয়। বানানোর চটজলদি পন্থাও আছে। আর স্বাস্থ্যকর তো বটেই। দোসার মিশ্রণ তৈরির জন্য চাল-ডাল ভেজানোর ঝামেলা এড়াতে হলে সুজি এবং টক দই মিশিয়ে নিন। দিয়ে দিন অল্প একটু জল। যোগ করুন স্বাদমতো নুন। মিশ্রণটি ঢেকে রাখুন ১৫-২০ মিনট।
কড়াইয়ে অল্প সাদা তেল নিয়ে বিউলির ডাল, কারিপাতা, সর্ষে ফোড়ন দিন। কুচনো পেঁয়াজ দিয়ে হালকা ভেজে নিন। যোগ করুন ধনেপাতা কুচি। স্বাদমতো নুন দিন। যোগ করুন সামান্য হিং। সমস্ত উপকরণ হালকা নাড়াচাড়া করে দোসার মিশ্রণে ভাল করে মিশিয়ে নিন। দিন সামান্য বেকিং সোডা। ফোড়ন দেওয়ার জন্য যে ছোট গোল হাতলওয়ালা কড়াই থাকে, এবার তাতে অল্প সাদা তেল দিয়ে হাতার সাহায্যে দোসার মিশ্রণ দিয়ে আঁচ কমিয়ে উল্টে পাল্টে ভাজুন। এটি দেখতে হবে একটু ছোট, গোলকার। বাদাম, টম্যাটো বা নারকেলের চাটনি দিয়ে বান দোসা খান।
চিজ় পালং অমলেট
শীতের পালং শাক দিয়ে বানান অমলেট। একটি অমলেট খেলেই পেট ভরে যাবে। এটি বানানোর জন্য কড়াইয়ে সাদা তেল দিয়ে রসুন কুচি ভেজে নিন। পালং ধুয়ে কুচিয়ে হালকা ভেজে নিন আঁচ কমিয়ে।
এবার দু’টি ডিম অল্প দুধ দিয়ে ফেটিয়ে নিন। কড়াইয়ে মাখন দিয়ে ডিম ঢেলে দিন। আঁচ কমিয়ে রাখতে হবে। ডিমের নীচের অংশ একটু রান্না হয়ে গেলে ভেজে নেওয়া পালং, পেঁয়াজ, হালকা ভাজা সসেজ, ডিমের উপর দিন। চিজ়ের স্লাইস দিয়ে অমলেট আড়াআড়ি ভাঁজ করে উল্টে-পাল্টে ভেজে নিন।
ব্রকোলি, কড়াইশুঁটি, কাঠবাদামের স্যুপ
শীতের সকালে যদি গরম গরম স্যুপ থাকে তার চেয়ে ভাল আর কী হতে পারে। তবে চির পরিচিত চিকেন বা সুইটকর্ন স্যুপ নয়। ব্রকোলি, কড়াইশুঁটি দিয়ে বানানো যায় ক্রিমের মতো ঘন সুস্বাদু স্যুপ। কড়াইয়ে অল্প তেল নিয়ে রসুন হালকা ভেজে দিয়ে দিন পেঁয়াজ কুচি। টুকরো করা ব্রকোলি, কড়াইশুঁটি হালকা নাড়াচাড়া করে জলে সেদ্ধ করে নিন। কাঠবাদাম হালকা রোস্ট করে কুচিয়ে নিন। সেদ্ধ করা ব্রকোলি, কড়াইশুঁটি মিক্সারে ঘুরিয়ে নিন।
এবার কড়াইয়ে মাখন দিয়ে ব্রকোলির মিশ্রণটি দিন। যোগ করুন অল্প জল এবং দুধ। স্বাদমতো নুন, গোলমরিচ দিয়ে মিনিট পাঁচেক রান্না করুন। উপর থেকে কাঠবাদামকুচি ছড়িয়ে দিন। ইচ্ছা করে ক্রিম ছড়িয়ে খেতে পারেন।