Advertisement
E-Paper

বিচারপতিকে ট্রাম্পের তোপ, আদালতের নির্দেশে খুলল ভিসার দরজা

আদালতের রায়ে আপাতত আটকে গেলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিউ ইয়র্ক, ভার্জিনিয়ার পর এ বার বেঁকে বসলেন সিয়াটলের এক ফেডেরাল বিচারপতি। সাফ জানালেন, দেশের সর্বত্র এখনই তুলে নিতে হবে নিষেধাজ্ঞা। ‘নিষিদ্ধ’ ৭ মুসলিম দেশ থেকে ঢুকতে দিতে হবে অভিবাসীদের।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৩:০৭

আদালতের রায়ে আপাতত আটকে গেলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিউ ইয়র্ক, ভার্জিনিয়ার পর এ বার বেঁকে বসলেন সিয়াটলের এক ফেডেরাল বিচারপতি। সাফ জানালেন, দেশের সর্বত্র এখনই তুলে নিতে হবে নিষেধাজ্ঞা। ‘নিষিদ্ধ’ ৭ মুসলিম দেশ থেকে ঢুকতে দিতে হবে অভিবাসীদের। এমনকী, শরণার্থীদের জন্যও দরজা বন্ধ রাখা যাবে না। ফলে এই মুহূর্তে উলটপুরাণের পথে হাঁটতে বাধ্য হচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন।

ট্রাম্পের নয়া অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে মামলা চলছে বেশ কয়েকটি ফেডেরাল কোর্টে। কিন্তু সিয়াটলের বিচারপতি জেমস রবার্ট গত কাল যে ভাবে সারা দেশে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা আটকে দিলেন, তাতে স্পষ্টতই ব্যাকফুটে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই ‘নিষিদ্ধ’ সাত দেশের নাগরিকদের বাতিল হওয়া ভিসাকে ফের বৈধ ঘোষণা করতে হয়েছে। তাঁরা অনেকে আমেরিকাগামী বিমানে উঠেও পড়েছেন বলে সর্বশেষ খবর।

এতেও প্রকাশ্যে ঢোক গিলতে নারাজ ট্রাম্প শিবির। প্রেসিডেন্টের নির্দেশ ‘আইনসম্মত এবং যথার্থ’ বলেই বিবৃতি দিয়েছে হোয়াইট হাউস। প্রথম বিবৃতিতে আদালতের স্থগিতাদেশকে ‘ভয়ঙ্কর’ বলেও উল্লেখ করা হয়। চটে গিয়ে বিচারপতি জেমস রবার্টকে ব্যক্তিগত আক্রমণও করেছেন ট্রাম্প। কোনও বিচারপতির উপরে প্রেসিডেন্টের এমন আক্রমণের নজির কমই আছে বলে জানাচ্ছেন মার্কিন রাজনীতিকরা। ট্রাম্প টুইটারে লিখেছেন, ‘‘তথাকথিত এই বিচারপতির নির্দেশ অর্থহীন। এতে দেশের আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়বে। হাস্যকর এই নির্দেশ বদলাতে বাধ্য।’’ যদিও আইনি পথে এই স্থগিতাদেশ খারিজ না হওয়া পর্যন্ত, হাত-পা বাঁধাই থাকছে প্রশাসনের।

ইরানের অভিযোগ, মার্কিন ফেডেরাল কোর্টের রায়ে ভিসা বৈধ হয়ে যাওয়ার পরেও তাদের নাগরিকদের আমেরিকাগামী বিমানের টিকিট দেওয়া হচ্ছে না। ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জেরে গত কালই ইরানের উপর এক গুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে আমেরিকা। জবাবে তেহরান আজ জানিয়েছে, এই ধরনের পরীক্ষা তারা চালিয়ে যাবে।

ট্রাম্পের বিরক্তি বাড়িয়েছে ‘ফোন-ফাঁস’ কাণ্ডও। ইদানীং দেখা যাচ্ছে, প্রেসিডেন্টের সব ফোনালাপই ফাঁস হয়ে যাচ্ছে সংবাদমাধ্যমে। যে সংবাদমাধ্যমের উপরে আবার তিনি খড়্গহস্ত। দেওয়াল তোলার খরচ নিয়ে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট এনরিক পেনা নিয়েতোর সঙ্গে কথা ও শরণার্থী বিনিময় নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্বুনালের সঙ্গে ট্রাম্পের কথা কাটাকাটির পুরোটাই ফাঁস হয়ে গিয়েছে। কী ভাবে? তদন্ত করতে চলেছে হোয়াইট হাউস।

Donald Trump Court Order
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy