Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Nikki Haley

হোয়াইট হাউসের দৌড়ে ‘ভারতীয়’! আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হচ্ছেন নিম্রতা নিকি হ্যালে

নিকির পুরো নাম নিম্রতা নিকি রণধাওয়া হ্যালি। জন্ম দক্ষিণ ক্যারোলিনাতেই। অর্থাৎ জন্মগত ভাবে আমেরিকারই নাগরিক তিনি। তবে বাবা-মা পঞ্জাব থেকে গিয়েছিলেন আমেরিকায়।

Nimrata Nikki Randhawa Haley

অম্তসরের স্বর্ণমন্দিরে এসেছিলেন নিকি হ্যালে। পঞ্জাবি বাবা-মায়ের সন্তান তিনি। ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৯:৪৬
Share: Save:

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হতে চলেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কন্যা— নিম্রতা নিকি হ্যালি। পঞ্জাবি বাবা-মায়ের সন্তান নিম্রতা এক সময়ে রাষ্ট্রপুঞ্জে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত ছিলেন। আবার আমেরিকার দক্ষিণ ক্যারোলিনার গভর্নরও ছিলেন নিকি। রাজনীতিক হিসাবে পরিচিতি রয়ছে তাঁর। সেই নিকিই ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থীদের অন্যতম মুখ হতে চলেছেন। আর নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হতে চলেছেন, তাঁর রিপাবলিকান সহকর্মী আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বছর ঘুরলেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আমেরিকায়। তার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে এখন থেকেই। রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থীরা নিজেদের মধ্য়ে লড়ে ঠিক করবেন কে যাবেন চূড়ান্ত পর্যায়ের লড়াইয়ে। নিকি যেমন সেই লড়াইয়ে নামছেন, তেমনই আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্টও ট্রাম্পও এ বছর আবার লড়ছেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য। তবে ট্রাম্পের বয়স এখন ৭৬। নিকি ৫১। নিজেকে আমেরিকার নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি হিসাবে তুলে ধরে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন নিকি।

নিকির পুরো নাম নিম্রতা নিকি রণধাওয়া হ্যালি। জন্ম দক্ষিণ ক্যারোলিনাতেই। অর্থাৎ জন্মগত ভাবে আমেরিকারই নাগরিক তিনি। তবে নিকির বাবা-মা দু’জনেই ভারত থেকে আমেরিকায় এসেছিলেন অভিবাসী হিসাবে। বাবা অজিত সিংহ রণধাওয়া ছিলেন পঞ্জাব কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। মা রাজ কউর রণধাওয়া দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ছাত্রী। দু’জনেই অমৃতসরে থাকতেন। পরবর্তী কালে আমেরিকার ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্কলারশিপ পেয়ে কানাডায় আসেন তাঁরা। পরে আমেরিকার দক্ষিণের কলেজে অধ্যাপকের চাকরি পেয়ে থেকে যান। নিকির জন্ম ওই আমেরিকার এই প্রদেশেই। তাঁর মা-ও আমেরিকায় এসে শিক্ষকতা করেছেন। পরে নিজেদের পোশাকের ব্যবসাও শুরু করেন তিনি। নিকি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করার পর মায়ের ব্যবসায় সাহায্য করেছেন দীর্ঘ দিন।

তাঁর ভারত-যোগের কথা নিজের প্রচারে ফলাও করেই জানিয়েছেন নিকি। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী বলেছেন, ‘‘আমি অভিবাসী বাবা-মায়ের গর্বিত সন্তান। কৃষ্ণাঙ্গ ছিলাম না। আবার শ্বেতাঙ্গও বলা যাবে না। আমি ছিলাম নিজের মতো। একেবারে আলাদা। কিন্তু আমার মা আমায় শিখিয়েছিলেন, এই পার্থক্যে মন না দিতে। বরং বলেছিলেন, কোথায় এ দেশের সঙ্গে আমার মিল তাতে মনোনিবেশ করতে।” এ ভাবেই নিজের প্রচারে আমেরিকার বর্ণবৈষম্যের প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন তিনি। একই সঙ্গে জো বাইডেনের সরকারের বেশ কিছু নীতিরও সমালোচনা করেছেন নিকি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE