ইউক্রেনকে পুনরায় সামরিক সাহায্য পাঠানো শুরু করল আমেরিকা। সৌদি আরবের জেড্ডায় আমেরিকা-ইউক্রেন বৈঠকে মস্কোর সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে কিভ। সৌদির ওই বৈঠকে রাশিয়ার সঙ্গে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির জন্য ইউক্রেনকে প্রস্তাব দেয় আমেরিকা। ওই প্রস্তাবে রাজি হয়েছে ইউক্রেন। এই অবস্থায় আমেরিকাও ইউক্রেনকে ফের সামরিক এবং অন্য প্রয়োজনীয় সাহায্য পাঠানো চালু করতে উদ্যোগী হয়েছে।
আমেরিকার সামরিক এবং অন্য সাহায্য পোল্যান্ড হয়ে ইউক্রেনে যায়। আমেরিকার পাঠানো সামগ্রী প্রথমে পোল্যান্ডের জ়েজ়ো ইয়াসিওঙ্কা শহরে একটি গুদামে (লজিস্টিক্স হাব) আসে। তার পরে সেগুলি ইউক্রেনে পাঠানো হয়। পোল্যান্ডের বিদেশমন্ত্রী র্যাডোস্ল সিকরস্কি বুধবার সকালে (স্থানীয় সময় অনুসারে) জানান, সাময়িক বিরতির পরে পুনরায় ইউক্রেনের জন্য আমেরিকার সাহায্য আগের মতোই আসতে শুরু করেছে ওই গুদামে।
সৌদি আরবের জেড্ডায় আমেরিকার প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক সেরে ফেরার পথে বর্তমানে পোল্যান্ডে রয়েছেন ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী আদ্রেই সিবিহা। বুধবার সিবিহাকে সঙ্গে নিয়ে এক যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করেন পোল্যান্ডের বিদেশমন্ত্রী। ওই সময়েই ইউক্রেনের জন্য মার্কিন সাহায্য পুনরায় চালু হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিকরস্কি। সিবিহাও জানান, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ থামাতে তাঁরা আগ্রহী। রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধবিরতি কোন পথে চূড়ান্ত হবে, তা নিয়ে আলোচনা, সমঝোতা এবং দর কষাকষির জন্য একটি বিশেষ প্রতিনিধিদলও তৈরি করতে চায় ইউক্রেন।
আরও পড়ুন:
রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইউরোপীয় দেশগুলিকে পাশে পেয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি। যুদ্ধবিরতির জন্য ইউক্রেনের রাজি হওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন জার্মানির বিদায়ী চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজ়। এ বার রাশিয়াও যাতে শান্তি ফেরাতে উদ্যোগী হয়, সেই বার্তাও দিয়েছেন তিনি। শোলৎজ় বলেন, “ইউক্রেনে শান্তি ফেরাতে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং সঠিক পদক্ষেপ। এ বার বাকিটা পুতিনের উপর।” সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’ জানিয়েছে, জেড্ডার বৈঠকের নির্যাস নিয়ে আমেরিকার কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে তথ্য পাওয়ার অপেক্ষা করছে রাশিয়া। ক্রেমলিনের এক মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানান, মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিও এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ওয়াল্টজ় আগামী দিনে ওই বৈঠকের বিষয়ে কূটনৈতিক স্তরে রাশিয়াকে তথ্য দেবেন, আশা করছে মস্কো।
সৌদিতে আমেরিকা-ইউক্রেন বৈঠকের পরে ওয়াশিংটন থেকে সংবাদমাধ্যমকে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘‘কিছু ক্ষণ আগে ইউক্রেন যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। এ বার রাশিয়ার পালা। আশা করি, পুতিনও এতে সম্মত হবেন।”