এক মাস হতে চলল ইজ়রায়েল থেকে অন্তত ২৫০ জনকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছিল হামাস। তাঁদের হদিস মেলেনি এখনও। তার পর থেকে গাজ়া ভূখণ্ডে লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইজ়রায়েল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হামলার তীব্রতা আরও জোরদার হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে গাজ়ায় ত্রাণ বিলির জন্য সাময়িক সংঘর্ষ বিরতির আবেদন জানিয়েছিল আমেরিকা। এ বিষয়ে আলোচনা করতে আমেরিকার বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এই নিয়ে তৃতীয় বার তেল আভিভে এসেছিলেন। কিন্তু ইজ়রায়েল সেই আপত্তি উড়িয়ে দিয়েছে।
সমস্ত পণবন্দিদের মুক্তি না দিলে হামলা যে কোনও ভাবে থামানো হবে না তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এই ঘটনার প্রতিবাদে ইজ়রায়েল থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতকে ফিরিয়ে নিয়েছে তুরস্কের সরকারও।
শুক্রবার গাজ়ায় আল-শিফা হাসপাতাল চত্বরে একটি অ্যাম্বুল্যান্সে হামলা চালায় ইজ়রায়েল বাহিনী। ওই ঘটনায় ১৫ জন নিহত এবং ৬০ জন জখম হন। রাষ্ট্রপুঞ্জ এই ঘটনার প্রবল নিন্দা করে বলেছে, হাসপাতাল, অ্যাম্বুল্যান্সকে কখনওই নিশানা করা উচিত নয়। ইজ়রায়েল সেনার তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, ওই অ্যাম্বুল্যান্সকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করত হামাস বাহিনী। গোপন সূত্রে খবর পেয়েই হামলা চালিয়েছে তারা।
একই সঙ্গে ইজ়রায়েলের দাবি, উত্তর গাজ়ায় হামলা চালানোর আগে তারা আকাশপথে কাগজ বিলি করে সাধারণ বাসিন্দাদের সতর্ক করেছে। বার বার বাসিন্দাদের দক্ষিণে সরে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর গাজ়ায় মূলত হামাসের ঘাঁটি নির্মূল করতে তাদের এই অভিযান। তবে তা সফল হবে কি?
বিভিন্ন সূত্রের দাবি, গাজ়ায় মাটির তলায় কিলোমিটারের পর কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গপথে লুকিয়ে রয়েছে হামাস বাহিনী। সেখানে মজুত রয়েছে অস্ত্রশস্ত্র, রসদ। তার জোরে বেশ কয়েক মাস সেখানে লুকিয়ে থাকতে পারবে তারা। হামাসকে নিকেশ করতেই হামলা জারি রেখেছে ইজ়রায়েলের নিরাপত্তা বাহিনী।
পাশাপাশি পণবন্দিদের খুঁজতে গিয়ে গাজ়া থেকে বেশ কিছু শিশুর দাঁত ও দেহাবশেষ উদ্ধার করেছে ইজ়রায়েল বাহিনী। তাদের দাবি, পণবন্দি করে নিয়ে যাওয়া শিশুদের উপরে চরম অত্যাচারের পর তাদের দেহ জ্বালিয়ে দিয়েছে হামাসেরা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)