Advertisement
E-Paper

কিম-শি বৈঠকে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে আমেরিকা

দু’দিন ধরেই জল্পনা চলছিল,  উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কি সত্যিই বেজিং সফরে গিয়েছিলেন? বুধবার জানা গিয়েছে, নিছক জল্পনা নয়, এই ‘বেসরকারি’ সফরের খবর একশো শতাংশ সত্যি।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০১৮ ০০:০৫
খোশমেজাজে:  শি চিনফিং ও তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ সারছেন সস্ত্রীক কিম জং উন। বেজিংয়ে। ছবি :এএফপি।

খোশমেজাজে: শি চিনফিং ও তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ সারছেন সস্ত্রীক কিম জং উন। বেজিংয়ে। ছবি :এএফপি।

শি চিনফিংয়ের সঙ্গে কিম জং উনের গোপন বৈঠক আমেরিকাকে স্পষ্ট বার্তা দিল— বেজিংয়ের মধ্যস্থতা ছাড়া আপাতত কোনও কূটনৈতিক পদক্ষেপ করতে চায় না উত্তর কোরিয়া।

দু’দিন ধরেই জল্পনা চলছিল, উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কি সত্যিই বেজিং সফরে গিয়েছিলেন? বুধবার জানা গিয়েছে, নিছক জল্পনা নয়, এই ‘বেসরকারি’ সফরের খবর একশো শতাংশ সত্যি। খবরের সমর্থনে বেজিংয়ে দুই রাষ্ট্রনায়কের একাধিক ছবিও আজ প্রকাশ করেছে চিন এবং উত্তর কোরিয়া, দু’দেশেরই সরকারি সংবাদমাধ্যম। সেই সব ছবিতে সস্ত্রীক, হাসিমুখের দুই নেতাকে দেখা যাচ্ছে। কোনওটায় বা তাঁরা মধ্যাহ্নভোজের টেবিলে খোশগল্প করছেন, কখনও বা তাঁদের হাতে ওয়াইনের গ্লাস। আলোচনার বিষয় নিয়ে সবিস্তার কিছু জানানো না-হলেও বেজিংয়ের দাবি, পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে তিনি যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, কিম সেটা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন শি-কে।

কিমের এই সফরে সৌহার্দ্য-সৌজন্যের আড়ালে স্পষ্ট কূটনৈতিক চাল লুকিয়ে রয়েছে, বলছেন কূটনীতিকরা। ওয়াশিংটনের উইলসন সেন্টার গবেষণা কেন্দ্রের জিন এইচ লি-র কথায়, ‘‘উত্তর কোরিয়া খুব সতর্ক ভাবে পা ফেলতে শুরু করেছে। এবং তারা ভালই বুঝতে পারছে যে, তাদের এই কূটনৈতিক যাত্রা সফল হবে, যদি বেজিং তাদের পাশে থাকে।’’ আগামী সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়া এবং তার কয়েক দিন পরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কিমের বৈঠক হওয়ার কথা। লি-র কথায়, ‘‘ওয়াশিংটন বা পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসার আগে চিনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করে কিম আন্তর্জাতিক দুনিয়াকে বুছিয়ে দিলেন, বেজিং তাঁর কত বড় বন্ধু!’’

উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে বেজিংয়ের সম্পর্ক যদিও চিরকাল ভাল ছিল না। ২০১৩-র ডিসেম্বরে কাকা জান-সং ঠেক-এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদোহের এনে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন কিম। ঠেক নাকি চিনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কিমকে গদিচ্যুত করতে চেয়েছিলেন। আবার ২০১৬ সালে চিনে জি-২০ শীর্ষবৈঠক চলাকালিন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেন কিম। এমনকী, গত বছরে কিমের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য পিয়ংইয়ং-এ বিশেষ দূত পাঠিয়েছিলেন শি। তাঁর সঙ্গে দেখা করতেই অস্বীকার করেন কিম।

কিম-শি বৈঠক নিয়ে আজ টুইট করেছেন ট্রাম্প। তাঁর কথায়, ‘‘কাল রাতে শি আমাকে বললেন, কিমের সঙ্গে তাঁর বৈঠক ভালই হয়েছে। কিম তাঁকে জানিয়েছেন যে, আমার সঙ্গে কথা বলার জন্য তিনি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।’’

US Donald Trump Kim Jong Un Xi Jinping video
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy