আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এইচ-১বি ভিসায় কড়াকড়ি করার পরে উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে বিদেশি নাগরিকদের। দক্ষ বিদেশি কর্মীদের নিয়োগ করতে হলে সংস্থাগুলি থেকে এক লক্ষ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ৮৮ লক্ষ টাকা) নেবে ট্রাম্পের সরকার। কোন কোন ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে, কারা ছাড় পাবেন— এ বার সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিল ট্রাম্পের প্রশাসন।
আমেরিকার নাগরিকত্ব এবং অভিবাসন সংস্থা ‘ইউএস সিটিজ়েনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস’ (ইউএসসিআইএস) এ বিষয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। গত ২১ সেপ্টেম্বর রাত ১২টার পরে (পূর্বাঞ্চলীয় সময় অনুসারে) আমেরিকার বাইরে রয়েছেন, এমন কারও জন্য এইচ-১বি ভিসা চাইলে ওই ১ লক্ষ ডলার দিতে হবে। বস্তুত, গত ২১ সেপ্টেম্বরই ট্রাম্প এইচ-১বি ভিসা সংক্রান্ত নয়া নিয়ম ঘোষণা করেছিলেন। ওই নির্ধারিত সময়ের পরে যে এইচ-১বি ভিসার আবেদনের ক্ষেত্রে কোনও বিদেশির কনস্যুলার বিজ্ঞপ্তি, প্রবেশের বিজ্ঞপ্তি এবং প্রাক-উড়ান তথ্যযাচাইয়ের অনুরোধ করা হয়েছে, সেগুলির ক্ষেত্রেও নয়া কড়াকড়ি কার্যকর হবে।
তবে যাঁরা আগে থেকেই অন্য কোনও ভিসায় আমেরিকায় বাস করছেন এবং সে দেশে থাকার মেয়াদ বৃদ্ধি বা সংশোধনের আবেদন করেছেন বা যাঁদের আমেরিকাবাসের মেয়াদবৃদ্ধির অনুমোদন মিলে গিয়েছে— তাঁদের ক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়ের পরে এইচ-১বি ভিসার আবেদন করা হলেও সংস্থাগুলিকে কোনও অর্থ দিতে হবে না। বিদেশি পড়ুয়াদের জন্য এফ-১ ভিসা বা কোনও পেশাদারের জন্য এল-১ ভিসার ক্ষেত্রেও এই ছাড় থাকছে। এইচ-১বি ভিসায় থাকা কোনও বিদেশি নাগরিক যদি আমেরিকা থেকে চলে যাওয়ার পরে আবার পূর্ব অনুমোদিত আবেদনের ভিত্তিতে ভিসার আবেদন করেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও কোনও অর্থ দিতে হবে না।
আরও পড়ুন:
২১ সেপ্টেম্বর রাত ১২টার আগে যে এইচ-১বি ভিসাগুলি দেওয়া হয়ে গিয়েছে, তার জন্যও কোনও অর্থ দিতে হবে না বলে জানিয়েছে মার্কিন নাগরিকত্ব এবং অভিবাসন সংস্থা। তবে কোনও ক্ষেত্রে আমেরিকাবাসের মেয়াদবৃদ্ধির আবেদন খারিজ হয়ে গিয়ে থাকলে, সে ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তাকে ওই কর্মীকে নিয়োগের জন্য এক লক্ষ ডলার দিতে হবে।
বস্তুত, দক্ষ বিদেশি কর্মীদের নিয়োগ করার জন্য সংস্থাগুলিকে ওই বিদেশি কর্মীর জন্য এইচ-১বি ভিসার ব্যবস্থা করতে হয়। নয়া বিধি অনুসারে, বিদেশি দক্ষ কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে মার্কিন সংস্থাগুলিকে এক লক্ষ ডলার দিতে হচ্ছে ট্রাম্প সরকারকে। এইচ-১বি ভিসা নিয়ে প্রতি বছর ভারত থেকে বহু মানুষ আমেরিকায় যান। এই মুহূর্তে ভারতীয়েরাই এই ভিসার সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাচ্ছেন। শুধু গত বছরেই ভিসার ৭১ শতাংশ আবেদন মঞ্জুর হয়েছে ভারত থেকে। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে চিন (১১.৭ শতাংশ)।