রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। —ফাইল চিত্র।
দেশের অর্থমন্ত্রীর কাছে সকাল সকাল ফোন এসেছিল রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দফতর থেকে। কিন্তু ফোন কানে দিয়ে হতবাক মন্ত্রী আন্তন সিলুয়ানোভ। ফোনের ও-পারে এক বালিকা-কণ্ঠ। পাশ থেকে ভেসে আসছে প্রেসিডেন্ট পুতিনের গলা।
বালিকার নাম রাইসত আকিপোভা। বয়স আট। দক্ষিণ রাশিয়ার যেখানে তার বাড়ি, সেই ড্যাগেস্তান এলাকার উন্নতির জন্য আরও অর্থ বরাদ্দ চায় সে। বালিকার দাবিতে গলা মিলিয়েছেন স্বয়ংপুতিন। প্রথমে খানিকটা থতমত হয়ে গেলেও পরে সামলে নেন অর্থমন্ত্রী। জানান, ওই এলাকার উন্নতির জন্য অর্থ বরাদ্দ করবে তাঁর মন্ত্রক। মস্কোয় রাইসতের সঙ্গে পুতিনের সাক্ষাতের সেই ছবি আর ভিডিয়ো গত কাল প্রকাশ করেছে ক্রেমলিন। অর্থমন্ত্রীর এই বরাদ্দে খুশি পুতিনও। তিনি বলেছেন, ‘‘দারুণ ব্যাপার। আমরা ড্যাগেস্তানের জন্য ৫০০ কোটিরুবল (প্রায় ৫.৫৬ কোটি ডলারের সমান) পেয়েছি।’’
ছবি আর ভিডিয়োয় বেশ হাসিখুসি দেখা গিয়েছে পুতিনকে। রাইসত ও পুতিন দু’জনে মিলে একই রকম ফোন করেছেন প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুতিনকেও।
সম্প্রতি রাশিয়ায় পুতিন-বিরোধী স্বর ক্রমশ প্রকট হচ্ছে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ নিয়ে বেশকিছু দিন ধরে দেশবাসীর একাংশের মনে ক্ষোভ জমেছে। সম্প্রতি প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়ে মস্কোর দিকে এগিয়ে গিয়েছিল রাশিয়ারই বেসরকারি আধা সামরিক বাহিনী ‘ওয়াগনার মার্সেনারি গ্রুপ’। রাজনৈতিক মহলের মতে, এর পরেই নিজের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে উঠেপড়ে লেগেছেন পুতিন।
গত সপ্তাহেই ড্যাগেস্তানে গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে দেখা করেন পুতিন। যা সাধারণত পুতিনসুলভ নয় বলে অবাক হন অনেকেই। পুতিন জানিয়েছেন, সে দিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা না হওয়ায় মন খারাপ ছিল রাইসতের। রাইসতের জলেভেজা চোখের ছবি দেখে তাকে বাবা-মায়ের সঙ্গে মস্কোয় আসার আমন্ত্রণজানান পুতিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy